আপত্তি উপেক্ষা করে রাফায় সৈন্য পাঠাচ্ছে ইসরাইল, কী করবে মিসর?
মিসরের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফা এবং ফিলাডেলফি করিডোরে সৈন্য পাঠাচ্ছে ইসরাইল। মিসর এখন কী করে তাই দেখার বিষয।
ইসরাইল শনিবার রাতে মিসরকে রাফা ও ফিলাডেলফি করিডোরে সৈন্য পাঠানোর ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছে বলে স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে মারিভ জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিসর অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (এসআইএস) প্রদান দিয়া রাশওয়ান গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বলেছিলেন, কঠোরভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে যে এই দিকে কোনো ধরনের ইসরাইলি সৈন্য পাঠানো হলে মিসর-ইসরাইল সম্পর্কে বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হবে।
কাতার ও মিসর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার রাতে বলেছেন, ‘মিসরের সাথে সম্পর্ক সব সময় অব্যাহত ও স্বাভাবিক রয়েছে। এতে উভয় দেশের স্বার্থ রয়েছে। মিসরের কিছু নির্দিষ্ট জিনিস দরকার। তারা তাদের স্বার্থের প্রতি যত্নশীল আমরা আমাদের স্বার্থ দেখি।’
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাবেক মুখপাত্র অভি বেনিয়াহুও তার এক্স অ্যাকাউন্টে গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ইসরাইলি বাহিনী আরো দক্ষিণে রাফায় যেতে পারে।
আরব মিডিয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে যে আইডিএফ দাবি করেছে যেন মিসরের সৈন্যরা করিডোর পরিষ্কার করে দেয়, যাতে ইসরাইলি সৈন্যরা সেখানে যেতে পারে।
ইসরাইল-মিসর সম্পর্কের অবনতি
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে শনিবার খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ইসরাইল ও মিসরের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে পড়ার মুখে রয়েছে। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সম্পর্কে অবনতি হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে কথা বলেন না। খবরে বলা হয়, সিসি এখন নেতানিয়াহুর ফোন ধরছেন না। এর কারণ হিসেবে বলা হয় যে কায়রো ‘বুঝতে পেরেছে’ যে ফিলিস্তিনিদের গাজা উপত্যকা থেকে মিসরের সিনাই উপদ্বীপে বহিষ্কার করার ইসরাইলের গোপন পরিকল্পনা রয়েছে।