আবারও স্পিকার নির্বাচিত হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
টানা চতুর্থবার জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতে স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পিকার পদে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব সমর্থন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় কণ্ঠভোটে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন স্পিকার শামসুল হক।
সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথ পড়ান।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ এবার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। ১০ জানুয়ারি শপথ নেন সংসদ সদস্যরা। ওই দিনই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ তাদের বৈঠকে স্পিকার পদে শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে শিরীন শারমিন চৌধুরীর জীবনী তুলে ধরে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এলএলবি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে ‘দ্যা রাইট টু লাইফ’ অর্থাৎ, মানুষের জীবনের অধিকার, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক আইন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে জনস্বার্থ, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করেছেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন মামলার প্যানেল আইনজীবী ছিলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শিরীন শারমিন চৌধুরী নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তৎকালীন স্পিকার আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এরপর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে আছেন।