উজরা জেয়ার সফর সংলাপকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সংবাদ সম্মেলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সাক্ষাৎ। গতকাল গণভবনে
বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দলগুলোর সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত নয়। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন মনোভাবের কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উজরা জেয়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। এরপর পররাষ্ট্রসচিব এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
উজরা জেয়া গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিল দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ঘিরে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এরপর বাংলাদেশে মার্কিন কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার এটি প্রথম সফর। গতকাল রাতে তাঁর ওয়াশিংটন ফিরে যাওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সফরের তৃতীয় দিন ছিল গতকাল। দিনের শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি সচিবালয়ে গিয়ে প্রথমে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। মধ্যাহ্নভোজের পর উজরা জেয়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে উজরা জেয়ার আলোচনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এসব আলোচনায় উপস্থিত একাধিক সূত্র গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানিয়েছে, দুই দেশের পক্ষ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে নিজেদের প্রত্যাশা এবং প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
ওই সূত্রগুলো জানায়, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি গত বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এমন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের ধারায় যাতে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য কী ছিল জানতে চাইলে সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর, সেটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সংঘাতের বিষয়টি এসেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হঠাৎ করেই সহিংস হয়ে ওঠে, রক্তক্ষয় ঘটে। তবে বাংলাদেশ আগামী নির্বাচন যেকোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে বদ্ধপরিকর।
এক প্রশ্নের জবাবে একটি কূটনৈতিক সূত্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে উজরা জেয়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় উল্লেখ করেছেন।
বৈঠকগুলোতে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি মার্কিন ওই মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করে আলোচনার সূত্রপাত করেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলন
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্রসচিব ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় উজরা জেয়া বলেন, শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নির্বাচন ও সুশাসনে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির অংশগ্রহণের ওপর এ দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, যেখানে সব নাগরিকের বিকাশ হবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারে তিনি কতটা আশ্বস্ত হয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে উজরা জেয়া বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে জোরালো প্রত্যয়ের কথা শুনেছি। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গেও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি।’
ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে উজরা জেয়া বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) বিশাল জনসভা দেখেছি। স্বস্তির বিষয়টি হচ্ছে, কোনোরকম সহিংসতা ছাড়াই সেটা হয়েছে। আমরা যেমনটা দেখতে চাই, এটা তার সূচনা। ভবিষ্যতেও এটির প্রতিফলন থাকবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।’
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা সবাই সংলাপের পক্ষে, আপনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে আমরা সরাসরি যুক্ত নই।’
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে—এমন ধারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উজরা জেয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দিতে আমি এখানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে চায়। অবাধ ও মুক্ত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে উজরা জেয়া সাংবাদিকদের জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিশোধ বা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সাংবাদিকতার চর্চার সক্ষমতা, মানব পাচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা এবং গণতন্ত্রে নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং মতপ্রকাশ ও সমাবেশসহ সব ধরনের মৌলিক স্বাধীনতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি জানান, বহুমাত্রিক ও নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে বাংলাদেশ কীভাবে মূল্যায়ন করে, সেটা মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারিকে জানানো হয়েছে। আগামী নির্বাচন, নাগরিক অধিকার, মানব পাচার প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রম আইনের সংশোধনে বাংলাদেশ গত এক দশকের অর্জন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং তাঁদের অধিকারের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারিকে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্রসচিব উল্লেখ করেন।
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
গতকাল সচিবালয়ে উজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধিত হবে—এ কথা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে বৈঠকে জানিয়েছেন। বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এই আইন নিয়ে তিনি আগেও যা বলেছেন, ঠিক সেই কথাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকেও বলেছেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল) বলেছে, তারা সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। গত বুধবার আইন ও বিচার বিভাগের সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকেও বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য কাঠামো (আইনি কাঠামো) দেশে আছে। সেসব সহায়ক আইনের কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাছেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
গাজীপুরের টঙ্গীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলামের বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, আগের সংস্কৃতি নেই যে বিচার হবে না। যেকোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয়। তবে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান আইনমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
গতকাল সচিবালয়ে উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল বলেছে, আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়, সেটি তারা দেখতে চায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তৈরি আছে। তারা খুবই প্রশিক্ষিত। ইতিমধ্যে অনেকগুলো নির্বাচন হয়ে গেছে, যেগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনও সে রকম শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল বলেছে, তারা কোনো দলকে উৎসাহ দিতে এখানে আসেনি। তারা কোনো দলকে সমর্থনও করে না। এর বাইরে তারা কিছুই চায় না, কিছুই বলেনি। কোনো দল বা ব্যক্তিকে সমর্থন করার জন্য তারা এখানে আসেনি—এটি তারা বারবার বলেছে।
অধিকারকর্মীদের আইনি সুরক্ষা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন উজরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক ও মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও আইনি সুরক্ষার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ সফররত মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। গতকাল বিকেলে রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে দেশের নাগরিক সমাজ, শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব বিষয়ে জানতে চান।
বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক ও টেলিভিশন টক শো তৃতীয় মাত্রার সঞ্চালক জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন এবং বেসরকারি সংস্থা সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের উন্নয়ন বয়ানের বিরোধিতা করাকে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিরোধিতা হিসেবে বলা হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে সরকারের সমালোচনাও নয়, বরং কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের সমালোচনা করা হলেও তা সরকারের সমালোচনা হিসেবে দেখা হয়। কিছু কিছু বিষয়ে এ ধরনের সংবেদনশীল আচরণ দেশের অধিকারকর্মীদের কাজের পথে বাধা তৈরি করছে।