এন্টার্কটিকায় গলছে আরেক আর্জেন্টিনা
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2023/07/image-701699-1690734758.jpg)
আর্জেন্টিনার মতো বিশাল আকৃতির বরফ গলে যাচ্ছে এন্টার্কটিকা মহাসাগরে। বছরের এ সময় অভূতপূর্বভাবে এন্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ নিম্ন স্তরে নেমে গেছে। প্রতি বছর এ বরফ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তার সর্বনিম্ন স্তরে সঙ্কুচিত হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বরফ সর্বনিম্ন মাত্রায় (৬ লাখ ৯১ হাজার বর্গমাইলে) পৌঁছেছে। শীতকালে তা আবার তৈরি হয়। কিন্তু এ বছর বিজ্ঞানীরা ভিন্ন কিছু লক্ষ করেন।
সমুদ্রের বরফ প্রত্যাশিত মাত্রার কাছাকাছি কোথাও ফিরে আসেনি। সমুদ্রের নিম্ন স্তরে যেতে যেতে প্রায় অদৃশ্য হওয়ার পথে। বিজ্ঞানীরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। সিএনএন।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এন্টার্কটিকা সাগরের বরফ ছিল ১ মিলিয়ন বর্গমাইল (২.৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার)। যা ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের গড় থেকে কম। এটি আর্জেন্টিনা, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ম্যাক্সিকো, অ্যারিজোনা নেভাদা, উটাহ ও কলোরাডোর সম্মিলিত অঞ্চলের মতো বিশাল এলাকা। বরফ গলে যাওয়ার ঘটনাটিকে কিছু কিছু বিজ্ঞানী ব্যতিক্রমী হিসাবে বর্ণনা করেন। যা লাখ লাখ বছরে একবারেই ঘটে। কলোরাডো বোল্ডার ইউনিভার্সিটির গ্ল্যাসিওলজিস্ট টেড স্ক্যাম্বোস বলেন, ‘সিস্টেমটি যেভাবে হতো তা পরিবর্তিত হয়েছে।’ জলবায়ু সংকট ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র বরফ নিচের দিকে যাচ্ছে। এতে আরও উষ্ণতা বাড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন।
এন্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধের দ্রততম উষ্ণায়নের স্থানগুলোর মধ্যে একটি। সমুদ্রের বরফের অভাব তার বন্যজীবনের ওপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তিমি, পেঙ্গুইন ও সিল খাবার ও বিশ্রামের জন্য সমুদ্র বরফের ওপর নির্ভর করে। সমুদ্র বরফ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। বরফ গলে গেলে তা তাপমাত্রার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে।