এভারেস্টের সমান উচ্চতার আগ্নেয়গিরির সন্ধান!
মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও বড় আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে এই আগ্নেয়গিরি পৃথিবীর বুকে অবস্থিত নয়। বিজ্ঞানীরা এর সন্ধান পেয়েছেন মঙ্গল গ্রহে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই আগ্নেয়গিরিটি অনেক দিন ধরে সক্রিয় ছিল। একই সঙ্গে তারা জানান সেখানের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের হাইড্রেটেড খনিজ রয়েছে। এখন এই নিয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।
দীর্ঘ দিন ধরেই মঙ্গলগ্রহ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন যে লাল গ্রহে সেই আগ্নেয়গিরিটি দীর্ঘকাল ধরে সক্রিয় ছিল। সেখানের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে একটি আগ্নেয়গিরির নিচে জমা রয়েছে নানা রকম খনিজ। মঙ্গল গ্রহে এই আগ্নেয়গিরিটি মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে লম্বা। এই দৈত্যাকার আগ্নেয়গিরি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে আইকনিক অঞ্চলগুলির একটিতে কয়েক দশক ধরে সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে ছিল সেটি।
ওই আগ্নেয়গিরিটি গোলকধাঁধার মতন নকটিস ল্যাবিরিন্থাস এবং ভ্যালেস মেরিনারিস বা ম্যারিনারের উপত্যকা স্মারক গিরিখাতের সীমানায় অবস্থিত। আগ্নেয়গিরিটি থারসিস নামক একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক টপোগ্রাফিক উত্থানের পূর্ব প্রান্তে আছে। সেখানে অ্যাসক্রেয়াস মনস, পাভোনিস মনস এবং আরসিয়া মনস নামের আরও তিনটি সুপরিচিত দৈত্যাকার আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
যে আগ্নেয়গিরিটি সেখানে মঙ্গল গ্রহে আবিষ্কৃত হয়েছে সেটি ৯০২২ মিটার উঁচু। এটা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও বেশি। উল্লেখ্য, মাউন্ট এভারেস্ট ৮৮৪৯ মিটার লম্বা। আগ্নেয়গিরিটি ৪৫০ কিলোমিটারেরও বেশি একটি বিশাল এলাকায় বিস্তৃত। ওই সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিচে হিমবাহের বরফ সম্ভবত এখনও উপস্থিত রয়েছে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা।
এনিয়ে এখন গবেষণা চালানো হচ্ছে। গবেষণার প্রধান লেখক ডাঃ প্যাসকেল লি বলেন, ‘আমরা একটি এলাকার ভূতত্ত্ব পরীক্ষা করছিলাম। যেখানে আমরা গত বছর একটি হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ পেয়েছি সেখানেই এই গবেষণা করা হয়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমরা একটি বিশাল এবং গভীরভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত আগ্নেয়গিরির ভিতরে রয়েছি।’
বিজ্ঞানীরা জানান, ১৯৭১ সাল থেকে গ্রহের চারপাশে প্রদক্ষিণকারী বিভিন্ন মহাকাশযানের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ওই আগ্নেয়গিরি। গবেষকরা জানান যে কেন্দ্রীয় শিখর এলাকাটি বেশ কয়েকটি উঁচু ‘মেসা’ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। এটা একটি চাপ তৈরি করে একটি আঞ্চলিক উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং শিখর এলাকা থেকে দূরে ঢালু অঞ্চল আছে।
এই মৃদু এবং বাইরের ঢালগুলি বিভিন্ন দিকে ২২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। এই অধ্যয়নের সহযোগী সৌরভ শুভম জানান, সেখানে বিভিন্ন ধরণের হাইড্রেটেড খনিজ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।