গাজায় জেটি নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে মার্কিন জাহাজ
গাজার উপকূলে জেটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছে। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমুদ্রপথে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করল।
এদিকে গাজাবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ সিনিয়র মানবিক ও পুনর্গঠন সমন্বয়কারী সিগরিদ কাগ বলেন, স্থলপথে সরবরাহের যে স্বল্পতা রয়েছে তা বিমান ও সাগরপথে সরবরাহ পূরণ করতে পারবে না।
গাজা বন্দর দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার মার্কিন কৌশল!
এর আগের খবরে বলা হয় যে ত্রাণ সহায়তা বেগবান করার কথা বলে গাজায় যে নৌবন্দর নির্মাণ করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটাকে প্রকৃত ঘটনা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার মার্কিন কৌশল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ডক্টর্স উইদাউট বডার্স।
ফরাসি ভাষায় এমএসএফ নামে পরিচিত সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী আরভিল বেনোট এক্স পোস্টে বলেন, গাজায় সাগরপথে সাহায্য সরবরাহ করার বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনাটি আসলে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ‘নির্বিচার’ এবং ‘অসম’ সামরিক হামলার থেকে দৃষ্ সরিয়ে নেয়ার কৌশল হতে পারে।
তিনি বলেন, গাজার মানুষদের খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ প্রবলভাবে প্রয়োজন। ইসরাইলের উচিত সরবরাহ প্রবাহে বাধা না দিয়ে সুযোগ সৃষ্টি করা।
তিনি জানান, ‘এটা কোনো লজিস্টিক সমস্যা নয়। এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি নির্মাণকাজ শুরু করার বদলে তাদের উচিত ছিল ইতোমধ্যেই বিদ্যমান থাকা রাস্তা ও প্রবেশপথগুলো ব্যবহার করে জরুরিভাবে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করা।
১০০০ সৈন্য মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র
গাজার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্র বন্দর নির্মাণের সময় সেখানে এক হাজার সৈন্য মোতায়েন করবে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দর পরিবহণ এবং নির্মাণের জন্য এক হাজার সৈন্য মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, বন্দরটি কিভাবে নির্মাণ করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, নির্মাণকাজে ৬০ দিন লেগে যেতে পারে।
তিনি বলেন, বন্দরটি নির্মাণে দুটি অংশ থাকবে। প্রথমে ভাসমান বার্জ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ত্রাণ সহায়তা সেখানে নামানো যাবে। সেখান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ১,৮০০ ফুট লম্বা ভাসমান সেতুর মাধ্যমে গাজার ভেতরে ত্রাণসামগ্রী নেবে।
রাইডার বলেন, নির্মাণকাজের সময় কোনো মার্কিন সৈন্য গাজার ভেতরে প্রবেশ করবে না। এমনকি সাময়িকভাবেও না।