গাজায় মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পরিষদের অধিবেশনে ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়।
সাধারণ পরিষদে তোলা ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও নির্বিচার হামলাসহ’ সব সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দাও জানানো হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা ও বাধাহীন ত্রাণসহায়তার আহ্বান জানানো হয়।
গৃহীত প্রস্তাবে চলমান সংঘাতের সময় জিম্মি বেসামরিক ব্যক্তিদের ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্ত’ মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, তাঁদের নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণেরও আহ্বান জানানো হয়।
আরব দেশগুলোর পক্ষে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল জর্ডান। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে পরিষদের ১২০ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪ সদস্য। অপর দিকে ৪৫ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিল।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর, তা মেনে চলার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এ পরিষদের সদস্য হওয়ায় গৃহীত হওয়া প্রস্তাবগুলোর নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণসহায়তা পাচ্ছেন তাঁরা।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপর দিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।