গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল বন্ধ, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘হতাশা’
তুমুল লড়াই, জ্বালানিসংকট ও ইসরায়েলের সেনাদের অব্যাহত অভিযানের মুখে বন্ধ হয়ে গেল ‘নাসের’ নামের গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল। স্থানীয় প্রশাসন ও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গতকাল রোববার জানান, হাসপাতালটিতে নতুন রোগীদের সেবাদান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণের সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালের অবস্থান। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে এর মধ্যে যে কয়েকটি হাসপাতালে কোনোমতে সেবা দেওয়া হচ্ছিল, তার একটি ছিল এই নাসের হাসপাতাল।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত ও গুরুতর জখম নিয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনি সামান্য হলেও এ হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছিলেন। কিন্ত এটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা আরও বড় সংকটে পড়ল। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চালানোর মতো জ্বালানি বা কর্মী না থাকায় গতকাল থেকে হাসপাতালটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল–কিদ্রা গতকাল রয়টার্সকে বলেন, ‘সেখানে সেবাদান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে মাত্র ৪টি মেডিকেল দলে ২৫ জন কর্মী আছেন। ভেতরে যেসব রোগী আছেন, এখন শুধু তাঁদেরই সেবা দিচ্ছেন কর্মীরা।’
আল-কিদ্রা জানান, তিন দিন ধরে জেনারেটর চালু করতে না পারায় হাসপাতালে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে সেবা দেওয়া প্রয়োজন, তাঁদের সেবা দিতে পারছেন না অবশিষ্ট কর্মীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ। অক্সিজেন না পেয়ে অন্তত সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে হতাশা
এদিকে, গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল রহমান আল থানি গত শনিবার বলেন, গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক নয়।
জার্মানির মিউনিখে চলমান বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিবদমান পক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছে। তবে আলোচনায় আশান্বিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। তবে তিনি আশা ছাড়ছেন না জানিয়ে বলেন, ‘সময় আমাদের পক্ষে নেই।’