তীব্র খাদ্যসংকটে সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ
সংগৃহীত ছবি
গত বছর (২০২২) বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগেছে অন্তত ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ, যা করোনা মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় ১২ কোটি বেশি।
বুধবার বাৎসরিক এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)। ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগতো— করোনা মহামারীর কারণে সেই সংখ্যায় যোগ হয়েছে আরও ১২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ফাও’র শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো কালেন বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, এটা খুবই খারাপ একটি সংবাদ।”
বিশ্বে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, বহু বছর ধরে বিশ্বে অনাহারী বা ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল তা গত বছর বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ অনেক দেশই মহামারি থেকে অর্থনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং খাদ্য ও জ্বালানির দামের উপর চাপ সেই সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করার জন্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য তা পূরণ থেকে বিশ্ব ‘অনেক দূরে’। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে, যে ২০৩০ সালে ৬০ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার হবে।
প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা দুর্যোগের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়া বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার জন্য দিন দিন বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
বিশ্বের কিছু অংশে অবশ্য খাদ্য নিরাপত্তাগত পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার অনেক দেশের খাদ্য সংকট এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে দিন দিন এই সংকট বাড়ছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
Very interesting details you have noted, regards for putting up.Blog range