তেজস্ক্রিয়তার শঙ্কায় জাপান থেকে খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চীনের
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা পরিত্যক্ত পানি মহাসাগরে ফেলে দেওয়ার বিষয়ে জাপানের পরিকল্পনাকে সামনে রেখে তেজস্ক্রিয়তার শঙ্কায় দেশটি থেকে খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লিটি থেকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিঃসরিত জমা রাখা পানি সাগরে ফেলে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে দেশটি বৈশ্বিক মানদণ্ড বজায় রেখেই এ কাজ করছে। খবর এএফপির।
চলতি গ্রীষ্মকালে এই পরিত্যক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাপান। আর এই কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করছে প্রতিবেশী দেশগুলো। বেইজিং বেশ জোড়ালোভাবে এই পরিকল্পনার বিরোধীতা করছে। এছাড়া ফুকুশিমার মৎস্যজীবীরাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, এতে তাদের ধরা মাছ ক্রেতারা নাও কিনতে পারে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বলেছে যে আইএইএ’র প্রতিবেদনকে সুবজ সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তারা সম্ভাব্য অজানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, তারা ফুকুশিমাসহ জাপানের ১০টি অঞ্চল থেকে খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে। এছাড়া জাপানের বাকী এলাকাগুলো থেকেও নিরাপত্তা বিবেচনায় খাদ্যপণ্যে তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা জোরালো করার কথাও বলেছে কর্তৃপক্ষ। উইচ্যাট বিবৃতিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট ওই ১০টি এলাকার নাম উল্লেখ না করে উচ্চমাত্রার এই সতর্কতা জারি করে।
২০১১ সালে সুনামির প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা পাওয়ার প্লান্ট। এই স্থাপনাটির রিঅ্যাক্টরগুলোকে ঠান্ডা রাখতে ভূগর্ভের পানি, বৃষ্টির পানিসহ প্রায় ১.৩৩ মিলিয়ন ঘণমিটার পানি ব্যবহার করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত রিঅ্যাক্টরগুলো গলে যাওয়ায় এই পানি সাগরে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান।