প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দুই দফা বৈঠক
ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টা কাটিয়েছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৈঠক করেছেন দুই দফায়। বুধবার (৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দফায় বৈঠক করেন তিনি।
সূত্র জানায়, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে যান পিটার হাস। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক চলে প্রায় ৪০ মিনিটের মতো। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পিটার হাস। দ্বিতীয় বৈঠকটি চলে পৌনে এক ঘণ্টা; বেলা ১১টা ৪২ থেকে দুপুর ১২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। চলমান রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো এ দুই বৈঠক। তবে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও সেখানে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছে উভয়পক্ষই।
এর আগে ঢাকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সকালে ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে চা-চক্রে যোগ দেন ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিক।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কূটনীতিক বলেন, আগামী সপ্তাহে ঢাকা আসবে ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। প্রতিনিধি দলটির কার্যক্রম ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চা-চক্রে আলোচনা হয়েছে।
এতে অংশ নেওয়া অন্যরা হলেন- ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপি, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সেইজফ্রিড রেংলি, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ক্রিস্টোফার, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে অ্যাসিস বেনেতিজ সালাস, জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত জ্যান জেনোভস্কি, জাপানের উপরাষ্ট্রদূত তাতসুয়া মাচিদা, সুইডেন দূতাবাসের কাউন্সিলর জ্যাকব ইতাত, ইতালির উপরাষ্ট্রদূত মাতিয়া ভেন্তুরা, ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা সাইমন লিভার ও নেদারল্যান্ডসের উপরাষ্ট্রদূত ম্যাটথিজিস জেল উডস্ট্রা।
এছাড়া একই দিন দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পিটার হাস। সেখানে নিহত শ্রমিক নেতা মো. শহিদুল ইসলাম ইস্যুতে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের পিটার হাস বলেন, শহিদুল ইসলাম হত্যার তদন্তের দিকে সতর্ক নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এ মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে; সেই সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা হবে।