বাইডেনের সঙ্গে কথা বন্ধ নেতানিয়াহুর, সংঘাতের মূলে তিনটি মাত্র শব্দ!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন নাকি কথা বলেন না ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানালেন দখলদার ইহুদি দেশটির রাষ্ট্রনেতা। খোলসা করলেন ‘বন্ধু’ বাইডেনের সঙ্গে ‘মনোমালিন্যের’ আসল কারণ। এই সংঘাতের মূলে নাকি রয়েছে মাত্র তিনটি শব্দ।
গাজায় ইসরাইলি সেনার হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। সেই থেকেই কূটনৈতিক মহলে কানাঘুষো শুরু হয়েছে, ইসরাইলের পাশ থেকে সরে আসতে চাইছে আমেরিকা! এই প্রেক্ষিতে এমন কোন কথার জন্য দুরত্ব বাড়ল দুই নেতার মধ্যে? কী জানালেন নেতানিয়াহু? রয়টার্স সূত্রে খবর, গত রবিবার ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রয়োগ করা তিনটি শব্দই নাকি তাদের মনোমালিন্যের কারণ।
গাজায় ইসরাইলের হামলাকে তিনটি শব্দে ব্যাখ্যা করেছিলেন বাইডেন। সেই শব্দগুলো হল ‘ওভার দ্য টপ’। বাংলায় এ কথার অর্থ হতে পারে ‘সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া’। এনিয়েই নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে আমেরিকা আমাদের পাশে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সমর্থনে আমরা আপ্লুত। আমি তার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু ওই তিন শব্দের মাধ্যমে বাইডেন ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন তা আমি জানি না। সেদিনের পর থেকে তার সঙ্গে আমি আর কথা বলিনি।’
উল্লেখ্য, ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মহিলা ও শিশুও। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। গত বছরে ডিসেম্বরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু নিয়ে তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। সেই সময়ই হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি ফৌজের হামলাকে ‘ওভার দ্য টপ’ বলেছিলেন তিনি। যার অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আক্রমণ শানাচ্ছে ইসরাইল। বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেনের এ মন্তব্য ভালোভাবে নেননি নেতানিয়াহু। সেসময় তিনিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত লড়াই চলবে।
বলে রাখা ভালো, গাজায় মৃত্যুমিছিল থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। রক্তপাত থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কিন্তু আমেরিকার ভেটোতেই তা আটকে যায়। ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না। বাস্তব থেকে যোজন দূরে এই প্রয়াস। এটা অর্থহীন।