ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী: বিদেশে যেতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে
বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে ফের জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যদি তাদের বাহিরে (বিদেশে) যেতে হয় তাহলে এখন যে আমি বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছি সেটা আমাকে উথড্রো করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয় তখন সে যেতে পারবে, এটা হলো বাস্তবতা।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করা হবে কি-না জানতে চাইলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা গত ১৭ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ২৭শে সেপ্টেম্বর (যুক্তরাষ্ট্র সময়) ওয়াশিংটন ডিসি-তে ভয়েস অফ আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জিজ্ঞেস করি, পৃথিবীর কোন দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দিবে? তাদেরকে যদি চাইতে হয় তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এখানে আদালতের কাজের উপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তবে হ্যাঁ। যেটুকু করতে পেরেছি তার জন্য… সেটা হচ্ছে, আমার যতটুকু সরকার হিসাবে ক্ষমতা আছে, সেখানে তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার পারমিশন দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন এখন সে নিজেই চিকিৎসা নিচ্ছে। বাংলাদেশের সব থেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এটাই প্রশ্ন… হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই; তারা আমাদের উপর ভিসা স্যাংশন দিতে চাচ্ছে কী কারণে? আর মানবাধিকারের কথা যদি বলে বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলে… আমরা, আওয়ামী লীগ; আমরাইতো এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে, এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়, তার জন্য যতরকম সংস্কার দরকার, সেটা আমরাইতো করেছি। আজ ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা…। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দিবো’ এই স্লোগানও আমার দেয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় স্বৈরশাসকরা দেশ শাসন করেছে। তাদের সময় সাধারণ মানুষের ভোট দিতে হয়নি। তারা ভোটের বাক্স ভরে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম করে আজ নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন। সেটা আমরা করেছি।