যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে হংকংয়ের পলাতকদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ চীনের
২০২০ সালে চীন হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করার পর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৮ গণতন্ত্রপন্থি কর্মী।
হংকং ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ৮ গণতন্ত্রপন্থি কর্মীকে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন।
হংকং এই গণতন্ত্রপন্থিদের খুঁজছে। তাদের মাথার জন্য হংকং পুরস্কার ঘোষণার পর চীন এই অভিযোগ করেছে।
চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে লন্ডন ‘হস্তক্ষেপ’ করছে অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে যুক্তরাজ্যে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা প্রকাশ্যেই পলাতকদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”
বিবিসি জানায়, ২০২০ সালে চীন হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করার পর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই ৮ গণতন্ত্রপন্থি কর্মী।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি বলেছেন, তাদের পিছু ধাওয়া করা হবে আজীবন। লি নির্বাসিত এই গণতন্ত্রপন্থিদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা তাদেরকে সবসময় ধরা পড়ার ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হবে।
পলাতকদের ধরার জন্য সোমবারেই ১০ লাখ হংকং ডলার (১০০,৫৮১ পাউন্ড; ১২৭,৬৩৭ মার্কিন ডলার) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষণায় যে ৮ জনের নাম বলা হয়েছে, তারা সবাই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। এই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের কোনও হস্তান্তর চুক্তি নেই।
হংকং থেকে পালিয়ে যাওয়া একজন গণতন্ত্রপন্থি কর্মী বিবিসি-কে বলেছেন, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার কারণে তার জীবন আরও অনেক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যে বাস করা নাথান ল বলেছেন, পুরস্কার ঘোষণার ফলে এখন তার অবস্থান যাতে প্রকাশ পেয়ে না যায়, সে ব্যাপারে তাকে অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে।
পলাতক এই ৮ গণতন্ত্রপন্থি কর্মীর বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ আছে। এই অপরাধের সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন জেল।
তিনবছর আগে হংকংয়ে ২০১৯ সালে ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের পর চীনের চালু করা কঠোর নিরাপত্তা আইনের আওতায় ওই অপরাধের এমন সাজার বিধান চালু হয়েছে।
বেইজিংয়ের ভাষ্য ছিল, হংকংয়ে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এই নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন। তবে সমালোচকরা বলেছিলেন, এ আইন ভিন্নমত দমন করার জন্যই চালু করা হয়েছে।