রোবট দিয়ে ওয়্যারহাউজ পরিচালনার চিন্তা করছে অ্যামাজন
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়্যারহাউজগুলোতে (গুদাম) হিউম্যানয়েড রোবটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যামাজন। অপারেশন কার্যক্রম আরও অটোমেটেড (স্বয়ংক্রিয়) করার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন কোম্পানিটি।
অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রাহকদের আরও ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য কর্মীদের মুক্ত করতেই এই রোবটের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
প্রযুক্তি কোম্পানিটি জানায়, নতুন যে রোবটের পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটার নাম ডিজিট। এটির বাহু-পা রয়েছে ও এটি মানুষের মতোই জিনিসগুলোকে নড়াচড়া করতে, ধরতে ও পরিচালনা করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন জিএমবি-এর একজন সংগঠক স্টুয়ার্ট রিচার্ডস বলেছেন, অ্যামাজনের এই অটোমেশন প্রচেষ্টাটি চাকরি হারানোর প্রথম পদক্ষেপ। এরই মধ্যে তাদের ফুলফিলমেন্ট কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক চাকরি নাই হয়ে গেছে।
যদিও অ্যামাজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোবোটিক্স সিস্টেমগুলো তাদের অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শত শত চাকরি তৈরি করেছে।
অ্যামাজন জানায়, স্কিল্ড রোলের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০০ ধরনের নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা আগে ছিল না।
জায়ান্ট এই কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, এটিতে এখন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোবট মানবকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। বিশেষ করে যেসব কাজ বার বার একই পদ্ধতিতে করা হয় সেক্ষেত্রে রোবট ব্যবহৃত হয়।
অ্যামাজন রোবোটিক্সের প্রধান প্রযুক্তিবিদ টাই ব্র্যাডি বলেছেন, মানুষের কোনো বিকল্প হয়না। তাছাড়া ভবিষতে কোম্পানির ওয়্যারহাউজগুলো সম্পূর্ণভাবে অটোমেটেড হতে পারে এমন মতামতেরও বিরোধিতা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ফুলফিলমেন্ট প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মানুষ মূল ভূমিকা পালন করে। যেমন উচ্চ স্তরের চিন্তা করার ক্ষমতা, সমস্যা নির্ণয়ে।
অ্যামাজন রোবোটিক্সের স্কট ড্রেসার বলেছেন, আমাদের ফ্যাসিলিটির বিভিন্ন ধাপে এই রোবট সহায়তা দেবে। যেমন পণ্য উঠানো ও নামানোর ক্ষেত্রে। এটি মানুষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রযুক্তি কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বরং নতুন নতুন প্রযুক্তি আসলে চাকরি তৈরি করে। প্রযুক্তি আমাদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।