সংসারে ‘খাবার’ যোগানোই দায়
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2024/02/16-20240203000247-780x420.jpg)
রাজধানীতে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম চড়া রাজধানীতে বসবাস করা অনেক পরিবার তিন বেলার বদলে দিনে দু’বেলা খাচ্ছেন :: কম খাওয়ায় অপুষ্টিতে ভুগছেন :: পুষ্টিবিদরা বলছেন, গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দিনে প্রয়োজন ২১০০ কিলো ক্যালোরি :: খাবার কমানোয় প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, নিউট্রিশন না পাওয়ায় শরীরে রোগব্যাধি বাড়ছে
ডিজিটাল বাংলাদেশ। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি ট্রানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রাজধানীতে অসংখ্য চোখ ধাঁধাঁনো ফ্লাইওভার নিয়ে উন্নয়নের রগরগে উচ্ছাস। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তের বড় একটা অংশ এবং সীমিত আয়ের মানুষের পরিবারগুলোর কর্তা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের খাবারের যোগান দেয়াই দায় হয়ে পড়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিপিডির এক গবেষণায় উঠে এসেছে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের খাবার কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তিন বেলার বদলে দিনে দু’বেলা খাচ্ছেন। সংসারের অন্যান্য খরচ কমিয়ে দিয়ে খাবার ক্রয় করছেন এমন পরিবারের সংখ্যাও লাখ লাখ। নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে খাবার কমিয়ে দেয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। পুষ্টিবিদদের মতে, গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দিনে প্রয়োজন ২১০০ কিলো ক্যালোরি। খাবার কমানোয় প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, নিউট্রিশন না পেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়, এর ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বেড়ে যায়। খাবার যোগাড় করতে মানুষ যখন হিমসিম খাচ্ছে তখন বিশ্ব খাদ্য দিবসে (১৬ অক্টোবর ২০২৩) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দাবি করেছেন, ‘দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না বা প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার খায় না।’ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী দাবি করছেন দেশে কেউ না খেয়ে থাকছে না। প্রশ্ন হচ্ছে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হলে বিপুর সংখ্যক পরিবারে খাবার কমিয়ে দিতে হয়েছে কেন?
বাস্তবতা হচ্ছে একদিকে ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমে গেছে। ডলারের দাম বেশি হওয়ার পরও ব্যাংক কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিয়ে এখন এলসি খোলা যাচ্ছে না। গ্যাস-বিদ্যুতের স্বল্পতায় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কমে গেছে। কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে মানুষ কাজ হারাচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় সংসারের প্রয়োজনীয় খাবার যোগান দিতে পারছেন না। অন্যদিকে এমপি-মন্ত্রীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি এবং কর্পোরেট হাউজগুলো ব্যবসায়ীদের সরকারের ছায়াতলে থাকায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ায় সিণ্ডিকেট করে একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজার সিণ্ডিকেটের অসৎ মজুতদার কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর যে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করছে তা নিছক লোক দেখানো। এখন শীতকাল চলছে। তারপরও সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির বাজারে চলছে অস্থিরতা। শীতকালীন প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে গোশত, মাছের দামসহ সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ৫২০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি শুরু করছিল। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীলরা সেটাতে হস্তক্ষেপ করে গরুর গোশতের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি করেছে।
পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অপারগতা প্রকাশ করে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। এর অর্থ কি আগামীকাল কমে যাবে? সে আশা দেওয়ার ক্ষমতা আছে আমার? এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা আমার মুখ দিয়ে অন্তত বের হবে না। পণ্যমূল্য কমতে সময় লাগবে।
গতকাল রাজধানীর শনির আখড়া, গোবিন্দগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ি বাজারে বাসার করতে আসা কমপক্ষ্যে ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা কেউ পণ্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই তারা কম খাচ্ছেন এবং নিম্নমানের শাক-সবজির ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। শনির আখড়া বাজারে গত কয়েকদিন ঘুরে দেখা যায় চাষের মাছ ও মুরগির গিলা-কলিজি ও পায় ক্রয়ের দিকে মানুষের ভীড় বেশি। মুরগি ক্রয় করতে না পারায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার এবং সীমিত আয়ের মানুষজন মুরগির গিলা কলিজি ও পা ক্রয় করে গোশতের দাহিদা মেটাচ্ছেন।
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, চার সদস্যের পরিবারে ১৫ হাজার টাকা বাসাভাড়া দিয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা। কোনো ভাবেই তিনি সংসার চালাতে না পেরে ঋণ করে, গ্রামের জমি বিক্রি সংসারের খরচের জোগান দিচ্ছি। এর মধ্যে গোশত খাওয়া বন্ধ এবং সকালের নাস্তার বদলে টা টোস্ট খেয়ে দিন পার করছি।
একরামুল হুদা নামের একজন ব্যাংকার জানান, তিনি যে বেতন পান তার চেয়ে সংসারের খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে খাবার কমিয়ে দিয়েছেন এবং ছেলেমেয়েদের টিউশনি বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে টাকা পাই তাকে সংসারের সদস্যদের মান সম্মত খাবার কেনা অসম্ভব। শিউলি আক্তার নামের একজন গৃহিনী বলেন, ঢাকার ৪ সদস্যের পরিবারের খরচের যে তালিকা সিপিডি দিয়েছে তা সঠিক নয়। তারা যে বাসা ভাড়ার টাকার অংক বলেছেন, সে ভাড়ায় বাস ড্রাইভার, সিএনজি চালকরা ভাড়া বাসা পাবে না। আমরা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার সামাজিক কারণে ওই মাসিক ভাড়ার বাসায় থাকতে পারবো না।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণায় বলা হয়, মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখীর কারণে মানুষ কম খাচ্ছে। অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ গোশতসহ বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার। রাজধানীর চার সদস্যের পরিবারের খাবারের পেছনে মাসে গড়ে খরচ ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও বাংলাদেশের বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-গোশতসহ বিভিন্ন আমিষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্য নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। এটা কমার কোনো লক্ষণ নেই। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন তার প্রবন্ধে ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকার চিত্র তুলে ধরে আরো জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ খাবার খাওয়া কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। এতে উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দেশের বিভিন্ন খাতের বিভিন্ন সূচকে উন্নতি হলেও পুষ্টি খাতে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। দেশে শিশু, নারী ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। স্বাভাবিক সময়ে অপুষ্টির যে চিত্র করোনা মহামারিতে তা আরো বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের খাবারের পরিমাণ কমলে তা আরো খারাপ হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্যমতে, কম খাবারের কারণে ৫৪ শতাংশের বেশি প্রাক-স্কুলগামী বয়সের শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, ওজন কম ৫৬ শতাংশ শিশুর।
খ্যাতিমান পুষ্টিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অনারারি অধ্যাপক ড. খুরশীদ জাহান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় প্রোটিন, নিউট্রিশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দাম না কমালে যেসব উৎস থেকে প্রোটিন, ফ্যাট পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া মানুষ আরো কমিয়ে দেবে। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে পুরো সমাজের ওপর। একদিকে অপুষ্টির কারণে শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা বাড়বে আবার কর্মক্ষমতাও কমে যাবে।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। শীতকালীন প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে নতুন আলুর ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোয় প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা এবং গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে দরে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছে। এসব বাজারে সোনালি, সোনালি হাইব্রিড মুরগির দাম কমেছে। তবে লেয়ার মুরগিও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোয় সোনালি ২৯০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর গোশত কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির গোশত কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোয় এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোয় ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছ দাম বেড়ে (আকারভেদে) হয়েছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি।