‘হিন্দু’ মেইতেইদের ঠেকাতে খ্রিস্টান নাগাদের পাশে কুকিরা
ভারতের মণিপুর রাজ্যের সহিংসতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেখানকার সংখ্যাগুরু মেইতেইদের ঠেকাতে এবার নাগা সংগঠনের পাশে দাঁড়াল মণিপুরের কুকিরা। আর তা করা হলো দীর্ঘ তিন দশকের রক্তাক্ত বৈরিতার ইতিহাস ভুলে!
মণিপুরের নাগাদের শীর্ষ সংগঠন ‘ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল’ (ইউএনসি) আগামী ৯ আগস্ট নাগা অধ্যুষিত এলাকায় যে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে, মঙ্গলবার তা সমর্থন করেছেন কুকি সামাজিক সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চ ‘কুকি ইনপি।’
১৯৯২ সালে দুই জনজাতি সম্প্রদায়, নাগা এবং কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিয়েছিল। আজকের মণিপুরের মতোই ওই সহিংসতায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। বেশ কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ওই সংঘাত ১৯৯৭ সালে শেষ হলেও সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক নয়। উখরুল, সেনাপতির মতো নাগা অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে মেইতেইদের মতোই কুকিদেরও কার্যত ‘প্রবেশ নিষেধ’।
এই পরিস্থিতিতে কুকি ইনপির পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। মণিপুরের আদি বাসিন্দা মেইতেইরা হিন্দু হলেও নাগা এবং কুকিরা খ্রিস্টান। যদিও দুই জনগোষ্ঠীর আলাদা চার্চ রয়েছে।
মণিপুরের সাম্প্রতিক সহিংসতা-পর্বে কয়েকটি কুকি-জো চার্চে হামলা হলেও অক্ষত থেকেছে নাগাদের টাংখুল চার্চ। আগামী ৯ অগস্ট নাগা উগ্রবাদী গোষ্ঠী এনএসসিএন(আইএম) এবং কেন্দ্রের শান্তিচুক্তির (ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট) ভিত্তিতে নাগা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে ইউএনসি। এত দিন ধরে কুকি সংগঠনগুলো নাগাদের এই দাবির বিরোধিতা করে এলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটল।