অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১ মাস, চ্যালেঞ্জ-ষড়যন্ত্র সামলে সংস্কারের সূচনা
নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থান। ছাত্র-জনতার রক্তমাখা বিপ্লব। ১৫ বছরের বেশি সময়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন উড়ে যায় ৩৬ দিনের গণ-আন্দোলনে। ৫ই আগস্ট নতুন এক বাংলাদেশের দেখা পায় বিশ্ব। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী শাসনমুক্ত হয় দেশ। তার তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। নানামুখী চ্যালেঞ্জ, শঙ্কা-ষড়যন্ত্রের চাপ সামলে এক মাস
পার করেছে নতুন সরকার। সরকার পতনের পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে নতুন সরকার। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রবাসীরা পাঠানো রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে সরকারের প্রথম মাসে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা কাটতে শুরু করেছে। সচল হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বৈদেশিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব নেতাদের স্বীকৃতি, আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতার আশ্বাসে আস্থা ফিরছে জনমনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক মাস কোনো মূল্যায়নের সময় নয়। তবে এ পর্যন্ত নেয়া সরকারের উদ্যোগ সন্তোষজনক। সামনে আরও কাজ করতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে। সামনের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মানুষের আস্থা ফেরানোর মতো আরও উদ্যোগ দৃশ্যমান করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ সরকারের এক মাস মেয়াদের বিষয়ে বলেন, একমাস আসলে মূল্যায়নের সময় না। সরকার একটি অস্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে। প্রশাসন, পুলিশ সব জায়গায় একটা শূন্যতা ছিল। সরকার এখন ঘর গোছানোর কাজ করছে। এর মধ্যে আর্থিক খাতে কিছু ভালো নিয়োগ হয়েছে। যা আমাদের আশা জাগাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশাসন এখনও পুরো কার্যকর হয়নি। এখানে বড় পরিবর্তন দরকার, যা হয়ে ওঠেনি। এগুলো সামনে করতে হবে। স্থানীয় সরকার নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। প্রশাসক দিয়ে বেশিদিন কাজ চালানো যাবে না। যেসব জনপ্রতিনিধি কাজ করতে চায় তাদের করতে দিন। যারা থাকবে না তাদের জায়গায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক দিক দিয়ে সরকারের সাফল্য অনেক। প্রায় সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ভারত এখন বাংলাদেশকে সমীহ করে কথা বলছে। এটা সামনে আরও বাড়বে। এটা সরকারের বিরাট সাফল্য।
অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় ক্ষোভ আছে, ১৫ বছরে নানা বৈষম্যের কারণে তা তৈরি হয়েছে। এটি একটা বিষয়। তবে আশার বিষয় হলো- সরকার সবার কথা শুনছে। তারা চেষ্টা করছে সমাধানের।
সরকারকে অতীতের অনিয়ম ও হত্যাকাণ্ডের বিচারে উদ্যোগী হতে হবে। এজন্য সব প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করতে হবে। এছাড়া তরুণদের কর্মসংস্থান বড় বিষয়। সরকার চাইলে আগামী ছয় মাসে অন্তত ২ লাখ মানুষের কর্মস্থান করতে পারে সরকারি খাতে। এর বড় খাত হতে পারে শিক্ষা। এছাড়া পুলিশ প্রসাশন ও সরকারি দপ্তরে শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করা যেতে পারে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইতিমধ্যে। প্রধান উপদেষ্টা সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এই সংস্কার প্রক্রিয়ার ছক আঁকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে উদ্বাবনী সংস্কার চিন্তা করতে হবে যা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
৬ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। ৮ই আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। দায়িত্ব নেয়ার শুরুতে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ছিল দেশ। দেড় দশকের বেশি সময়ের অনেকটা একদলীয় শাসনে অতিষ্ঠ মানুষের ক্ষোভ নানাভাবে প্রকাশ হতে থাকে। স্থানে স্থানে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িয়ে পড়া আইন-শৃঙঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। নিরপরাধ ও সাধারণ সদস্যদের অনেকে হতাশায় নিজেদের গুটিয়ে নেন। বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনা ও শিল্প-কারখানা আক্রান্ত হতে থাকে। এমন অবস্থায় আস্থা ফেরাতে মানুষের পাশে দাঁড়ান সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাঠে নামেন তারা।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে সরকার। নেয়া হয় একের পর এক উদ্যোগ। এক মাসের মধ্যেই নতুন সরকারের কিছু উদ্যোগের সুফল আসতে শুরু করেছে। লুটপাটে বির্পযস্ত আর্থিক খাতকে চাঙ্গা করতে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। ব্যাংকে ব্যাংকে জেঁকে বসা লুটপাটকারীদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ব্যাংকখাতে সুশাসন আনতে চেষ্টা শুরু করেছেন। অর্থ উপদেষ্টা দৌড়ঝাঁপ করছেন পুরো খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িয়ে পড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি অনেকে আটক হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাটকারী ও সহযোগিতাকারীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা শুরু হয়েছে সরকারি দপ্তরে। বেশির ভাগ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এসেছে। স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন সরে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন কী করবেন এই প্রশ্ন এখন সামনে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিবর্তনের দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে।
প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে প্রতিদিনই। লক্ষ্য গতি ফেরানো, সুশাসন প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা শুরু। আগের সরকারের সময়ে দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকদের অনেককে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের শূন্য হওয়া পদে এখন নিয়োগ চূড়ান্তের কাজ চলছে। দুই/এক দিনের মধ্যেই সব জেলায় ডিসি নিয়োগের চেষ্টা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পুলিশ সুপার পদেও রদবদল করা হচ্ছে।
শিক্ষাখাতে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল তা কাটাতে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল তা এখন কমে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্বগ্রহণ করা সরকারের সামনে অনেক কাজ। ছাত্র-জনতার দাবি অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন মূলকাজ। নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারেনি নতুন সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের রূপরেখা প্রকাশ করতে দলগুলোর তরফে দাবি তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সমর্থন ও সময় দেয়ার বার্তাও দেয়া হয়েছে প্রধান প্রধান দলের পক্ষ থেকে। এ অবস্থায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে আস্বস্ত করেছেন, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। সরকারের মেয়াদও হবে জনগণের চাওয়ার ওপর।
ওদিকে গণঅভ্যুত্থানের মাস পূর্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চ কর্মসূচি থেকে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের। বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন মামলা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি আওয়ামী লীগের নেতা, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামি হচ্ছেন। মামলা দায়েরের এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যা ও দুর্নীতি লুটপাটে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের দায়িত্ব নেয়ার একমাস হলেও এখনো আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী হাজারো ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন আন্দোলনে। আহত হয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি। তাদের অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তথ্য সম্প্রচার, ডাক ও টেলি যোগাযোগ উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল জানিয়েছেন দ্রুতই নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে সরকারের তরফে। পুরো তালিকা প্রকাশের পর এ কাজকেও এগিয়ে নেয়াকে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
দায়িত্ব নেয়ার পরই সরকারের সামনে একের পর ষড়যন্ত্র হাজির হয়। শুরুতে বিচারাঙ্গনের ক্যু পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কে এম ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগসহ উচ্চ আদালতের পুনর্গঠনের দাবি তুলেন আন্দোলনে বিজয়ের পরপরই। প্রধান বিচারপতি এ দাবি গ্রাহ্য করে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা ডাকায় অনেকে সেটাকে ক্যু চেষ্টা বলেছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রবল প্রতিবাদে সেই সভা আর হয়নি। দ্রুতই আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উদ্যোগী হন। প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেন। নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট পুনর্গঠন করা হয়।
সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই একের পর এক দাবি নিয়ে হাজির হতে থাকে নানা পক্ষ। বিগত সময়ে বঞ্চিত হয়েছেন এমনটা বলে নানা দাবি সামনে আনেন। দাবি আদায়ের নামে প্রশাসনের কেন্দ্র সচিবালয়কে অচল করার চেষ্টা করা হয়। সরকারের উদ্যোগে এই চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামনে আসে আনসার বাহিনী। দাবি আদায়ের নামে তারা সচিবালয় ঘেরাও করে। দাবি মেনে নেয়ার পরও ঘেরাও অব্যাহত রেখে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির চেষ্টা করা হয়। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ অবশ্য এই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেয়।
গত ১৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের শোক দিবস পালন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বলা হচ্ছিল এ দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কর্মসূচির নামে মাঠে নামবেন। এদিনও কর্মসূচি দিয়ে মাঠে ছিল ছাত্র-জনতা। গোপালগঞ্জ ছাড়া আর কোথাও আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
সম্প্রতি তৈরি পোশাক শিল্পসহ শিল্পকারখানায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নানা দাবি-দাওয়া আদায়ের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের আন্দোলনে নামানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় অবস্থার উন্নতি হয়েছে। শনিবার থেকে প্রায় পুরো স্বাভাবিক হয়েছে এ খাত।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক জনমুখী উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার দেয়া বক্তৃতা-বিবৃতিতে আস্থা বাড়ছে জনমনে। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে প্রফেসর ইউনসূকে সমর্থন ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মকাণ্ডে গতি ফিরছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আন্দোলন করা বাংলাদেশি কর্মীদের সাজা দিয়েছিল দেশটির আদালত। প্রফেসর ইউনূস নিজ উদ্যোগে এই কর্মীদের সাজা মওকুফের ব্যবস্থা করেছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এবার নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মাত্র সাতজন সফরসঙ্গী নিয়ে তিনি নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন। এর আগের সরকারপ্রধানের এই সফরে থাকতেন শতাধিক সফরসঙ্গী।
সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ অন্তত ১৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এই বন্যায় সারা দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা এবং সরকারের উদ্যোগ ছিল নজিরবিহীন। বন্যা পরবর্তীতে এসব জেলায় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়াকেও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।