আকস্মিক বন্যায় সিকিমে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১২০
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিস্তার পানির তোড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
সিকিম সরকার সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক এই বন্যায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ১২০ জন। নিখোঁজদের মধ্যে ২৩ ভারতীয় সেনা সদস্যও রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এর জেরে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। সিকিমের চুংথাংয়ে একটি নদীবাধ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সিকিম সরকার এরই মধ্যে এ ঘটনাকে বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।
দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক আটকা পড়েছে সিকিমে। সিকিম সরকারের সূত্রে জানানো হয়, প্রায় তিন হাজার পর্যটক আটকে রয়েছে সেখানে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক লেক পানি ভর্তি হয়ে উপচে পড়তে থাকে। বৃষ্টির ফলে এমনতিতেই তিস্তার পানির স্তর বেড়ে যায়। এরপর ‘চুংথাং বাঁধ থেকে তিস্তা নদীর উদ্দেশ্যে পানি ছাড়া হয়। এতে তিস্তার পানির স্তর আরো বেড়ে যায়। বাঁধ খুলে দেওয়ার পর সেখানে পানি স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয় ২৩ সেনা সদস্য। সেখানকার কিছু যানবাহন ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।