আক্রমণের খুব কাছে রাফাহ, ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এর আগে সোমবার (৬ মে) ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।
আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাংকের উপস্থিতির কারণে গাজার প্রধান ক্রসিংটি ফিলিস্তিনের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাজা সীমান্তের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ১২ ঘণ্টা ফিলিস্তিনিদের জন্য কঠিন এক রাত ছিল। রক্তাক্ত এক ধ্বংসযজ্ঞ ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহর পূর্ব অংশে সব ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করেছে। তখনই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে রাফাহ ক্রসিং দখল করে নেয়। এর মধ্যে দিয়ে কৌশলগতভাবে গাজা স্ট্রিপকে আলাদা করে ফেলেছে।
রাফাহ ক্রসিং কেবল গাজায় প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ নয়, যুদ্ধের শুরুর পর থেকেই গাজায় প্রবেশের জন্য মানবিক সহায়তার প্রধান পথ ছিল।
এই মুহুর্তে সেখানে ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। আলজাজিরার একজন প্রতিবেদক বলেছেন, আমরা বলতে পারি যে গাজা মানবিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব কঠিন পরিস্থিতির দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘একই সময় আমরা রাফাহ ক্রসিংয়ে অবস্থান করছি। রাফাহ ইসরায়েলি আক্রমণের খুব কাছাকাছি রয়েছে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
কিন্তু ইসরায়েল বলেছে, এই প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি মত হয়নি। তারা বলছে, এই চুক্তির বিষয়ে আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং পাশাপাশি রাফায় হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।