আতঙ্কের এক রাত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন

রোববার রাত সাড়ে ১০টা। অন্যান্য দিনের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪৩)। রামপুরার বনশ্রী ডি-ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। বনশ্রীর সি-ব্লকের ৫ নম্বর সড়কের ‘অলংকার জুয়েলার্স’- নামের প্রতিষ্ঠান থেকে রওনা দিয়ে বাসার গেটে আসার পর তাকে ঘিরে ধরে তিনটি মোটরসাইকেলে আসা সাতজন দুর্বৃত্ত। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য দৃর্বৃত্তরা টানাটানি ও ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্র্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ও নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। অন্তত চারটি গুলি ও শরীরের ৬ স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনশ্রীর ফরায়েজী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঢাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সময়ে এমন আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উদ্বেগ-আতঙ্কের মধ্যে মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে হল থেকে বেরিয়ে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা এ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের পর প্রায় শেষরাতে ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. অব. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। যদিও এ সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বক্তব্য ছিল না। গভীর রাতে উপদেষ্টার এই সংবাদ সম্মেলনও আতঙ্ক তৈরি করে অনেকের মধ্যে।
কী ঘটেছিল বনশ্রীতে: ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে ব্যবসায়ী আনোয়ারের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি ব্যাগ ছাড়ছেন না। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে একজন তাকে গুলি করে। পরে ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার পর ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন স্বামীকে বাঁচাতে গেট খোলার আকুতি শুনেও বাড়ির মালিক ও দারোয়ান কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আমার স্বামী এখানে চলে আসার ১ মিনিটও হয়নি গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমার স্বামী বলছে, গেট খোলো, গেট খোলো। পরে আমি গুলির শব্দ শুনে দৌড়ে আসছি। আমি চিৎকার করছি ভাই আপনারা গেট খোলেন, গেট খোলেন। দারোয়ান কই? সে (স্বামী) এখানে দাঁড়িয়ে আমাকে বলছে গেটটা খোলো না কেন? আমি বলছি আমার কাছে তো এরা চাবি দেয় নাই। আমি এ জায়গায় দারোয়ানের পা দেখতে পাচ্ছি। পরে আমি জানালা খুলে দেখি এরা সব (দারোয়ান) ভেতরে বসে আছে। আমি দরজা খুলে দারোয়ানকে টেনে বের করেছি। দারোয়ানকে বলছি, আমার জামাইকে মেরে ফেলছে আপনারা গেট খুলছেন না কেন? চাবি কই? দারোয়ান বলছে চাবি বাড়িওয়ালার কাছে। পরে আমি চাবির জন্য তিন তলায় বাড়িওয়ালার কাছে গেছি। দরজা পিটাইতে পিটাইতে এদের কোনো সাড়া নাই। কেউ গেট খোলে না। পরে আবার নিচে আসছি। আবার উপরে গেছি। তিনি বলেন, এগুলো করতে করতে বাইরের লোক আমার জামাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমার জামাই ওদের সঙ্গে ২০ মিনিট এখানে যুদ্ধ করেছে। পরে দেখি, এখানে শুয়ে পড়ে আছে। গেটে তো তালা লাগানো। আমি ভেতর থেকে দেখছি। পরে বাইরের লোক আমার জামাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে এই ডাকাতরা (বাড়ির মালিক) গেট খুলেছে। দারোয়ান তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গেট খুলেনি এই প্রশ্নও এখন সর্বত্র। পুলিশও সন্দেহের তীর দারোয়ানের দিকে ছুড়ছে। এজন্য তাকে আটক করেছে। এদিকে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী আনোয়ার গতকাল সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘আমি দোকান বন্ধ করে নিজের মোটরসাইকেলে করে বাসার সামনে যাই। দারোয়ানকে বাসার গেট খুলতে বলি। কিন্তু দারোয়ান গেট খোলেনি। এমন সময় দেখি, তিনটা মোটরসাইকেল আসতেছে, এরই মধ্যে তারা আমাকে ঘিরে ফেলে। এটা দেখে দারোয়ানের বউ গেট লাগিয়ে দেয়। তখনো তারা আমাকে গুলি বা কুপিয়ে আহত করেনি। আমি দারোয়ানকে বারবার গেট খুলতে বলি, কিন্তু সে গেট খোলেনি। ওই সময় বাসার গেট খুলে দিলে ছিনতাই বা গুলির ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার সময় আমি কাউকে চিনতে পারিনি বলে দাবি করেন তিনি। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে।
আরও ঘটনা, আতঙ্ক নগর জুড়ে: রোববার পুরো রাতই আতঙ্কে কেটেছে রাজধানীবাসীর। শহর জুড়ে একটার পর একটা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়াতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নরগরবাসীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে অনেকে নানা মন্তব্য করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির শংকর আলী হোসেন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে, মহল্লায় ডাকাতদল প্রবেশ করেছে। সন্ত্রাসীরা আশপাশের দোকানগুলোতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান বন্ধ করে দেন এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যান। প্রায় পাঁচ-দশ মিনিট অবস্থান করার পর সশস্ত্র দলটি এলাকা ত্যাগ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এলাকাবাসী নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে করে তরুণরা আসলেও তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৫-২০ জন তরুণ ধানমণ্ডির শংকর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হাজী ইউসুফ হাইস্কুলের পাশের গলির মুখে চা খাওয়ার জন্য দাঁড়ান। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। এটা দেখে পাশের কোন ব্যক্তি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে বলেন এখানে ডাকাত এসেছে। তারপরে সে নিজের মতো করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে। সেখানে দেখতে পায় এসব তরুণদের হাতে কোনো ধরনের অস্ত্র নেই। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে চলে যান। একই রাতে গোড়ানে একজনকে কুপিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় রিকশাযাত্রী স্বামী-স্ত্রীকে আটকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১২টার দিকে শেখেরটেক ২ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, রিকশাটি আটকে আরোহী স্বামী-স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দুর্বৃত্তরা সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ওই দম্পতির সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান ও নবোদয় হাউজিংয়ের মাঝামাঝি স্থানে বেড়িবাঁধে রাত ১১টার দিকে রিকশা আটকে আরেকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রিকশারোহী দুই যুবকের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কিছু দুর্বৃত্ত হানা দিয়েছিল। পরে এলাকাবাসী আঁচ করতে পেরে মাইকিং করায় তারা শটকে পড়ে।
ঢাবিতে বিক্ষোভ: ছিনতাই, ধর্ষণ ও ডাকাতি বেড়ে যাওয়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বনশ্রী ও মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই মূলত শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন। এ সময় তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভে তারা ‘জুলাইয়ের রক্তের দাম চাই, নিরাপদ দেশ চাই’, ‘সারা দেশে অপরাধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর গদি ছাড়’, ‘দফা এক দাবি এক, জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ’, ‘মা বোনদের নিরাপত্তা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তখন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি বড় অপরাধের ঘটনা সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। মোহাম্মদপুর, বনশ্রী, ধানমণ্ডিতে ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের উপদ্রব ছিল। কেউ বাসা থেকে বের হতে নিরাপদবোধ করছেন না, মানুষ আতঙ্কবোধ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করতে হবে।
উপদেষ্টার নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবরে রাত ৩টায় নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গভীর রাতে তার নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনের খবরে মিডিয়া ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। অনেকে বলছেন এই সংবাদ সম্মেলন অনেকটা বিরল। জরুরি কোনো ঘটনা ছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা মন্ত্রী এর আগে কখনো এত রাতে সংবাদ সম্মেলনের নজির নেই।
রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। তারা প্রচুর টাকা দেশ থেকে স্থানান্তর করেছে। এখন সেই টাকা ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা এটা কোনো অবস্থাতেই করতে দেবো না। আমরা যেভাবেই হোক এটা প্রতিহত করবো। দিনে-রাতে যেখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হবে, তারা সেখানে যাবে এবং প্রতিহত করবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়বে। যেখানেই ঘটনা ঘটবে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রচুর টাকা ব্যবহার করছে। তবে আমরা শক্ত হাতে তাদের প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগের যারা এসব কাজ করছে, তাদের ঘুম হারাম করে দেবো। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দিনে-রাতে কোথাও জায়গা পাবে না। আমরা টহল টিমকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি। তারা যদি কাজ করতে না পারে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই আওয়ামী দোসর যারা এই কাজগুলো করছে, তাদের ঘুম হারাম করে দেবো। এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকেছি। এখন আমরা নির্ধারণ করবো কীভাবে কী করা যায়। সোমবার থেকে আপনারা সুনির্দিষ্ট উন্নতি দেখবেন। পদত্যাগ দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পদত্যাগের দাবি আজকেই প্রথম না। যে কারণে পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে সেই কারণগুলোর যদি উন্নতি হয়, তাহলে তো পদত্যাগের প্রশ্ন থাকে না। তারা চাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন উন্নতি হয়, আমি সেটা করবো। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসার সামনে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি করেছেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। তারা বলেছেন, পদত্যাগ না করলে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে মশাল মিছিল হবে। সোমবার বিকালে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এ আল্টিমেটাম দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদ্রিতা রায়।