আরব আমিরাতের কাছে ১৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সফরের আগে দেশটির কাছে ১৪০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার এ খবর জানিয়ে বলেন, সমরাস্ত্রের মধ্যে সামরিক উড়োজাহাজও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলেন, উপসাগরীয় দেশটির কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১৩২ কোটি ডলারে ৬টি সিএইচ-৪৭এফ চিনুক হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক হবে বলেও জানান তাঁরা।
ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব সম্পদ তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, দুর্যোগকালীন সহায়তা, মানবিক কার্যক্রম এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্যবহার করবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আরব আমিরাতকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ মঙ্গলবার থেকে তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শুরু করেছেন। সফরে তিনি ফিলিস্তিনের গাজা এবং ইরান নিয়েও আলোচনা করবেন। প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল থেকে শুরু করে জ্বালানি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য বড় ব্যবসায়িক চুক্তিও এ সফরের আলোচনায় থাকতে পারে।
আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ তিন দেশ সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শুরু করেছেন। সফরে তিনি ফিলিস্তিনের গাজা ও ইরান বিষয়েও আলোচনা করবেন। প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল থেকে শুরু করে জ্বালানি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য বড় ব্যবসায়িক চুক্তিও এ সফরের আলোচনায় থাকতে পারে।
হেলিকপ্টারের পাশাপাশি, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ বিক্রির জন্য ১৩ কোটি ডলারের আরেকটি চুক্তিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।
এক পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
এই অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবে আপত্তি জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের হাতে ৩০ দিন সময় আছে।