কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কী কী প্রতারণা করছে সাইবার অপরাধীরা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি মানুষের অনেক কাজকে সহজ করেছে। ই–মেইল লেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করে নেওয়া যায় এআইয়ের মাধ্যমে। শুধু তা–ই নয়, এআই টুল ব্যবহার করে ভিডিও ও গানের সুরও তৈরি করেন কেউ কেউ। বিভিন্ন কাজ সহজে করা গেলেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে সমানতালে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।
এআই দিয়ে কণ্ঠ নকল
কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এআই। কারণ, এখন খুব সহজেই যেকোনো ব্যক্তির কয়েক সেকেন্ডের কথোপকথনের তথ্য সংগ্রহ করে এআই টুলের মাধ্যমে হুবহু নকল কণ্ঠ তৈরি করা যায়, যা ‘ভয়েস ক্লোন’ নামে পরিচিত। এআই টুল দিয়ে তৈরি এসব নকল কণ্ঠ প্রায় নিখুঁত হওয়ায় সহজে শনাক্ত করা যায় না। ফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠ নকল করে তাঁর পরিচিতদের কাছে অর্থ চাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এমনকি অনেক তারকার কণ্ঠ নকল করেও প্রতারণা করে তারা।
ভুয়া ই–মেইল পাঠানো
এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ই–মেইল বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এসব ই–মেইল বার্তায় সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা কম দামে দেওয়ার পাশাপাশি পুরস্কার জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর বিস্তারিত জানতে লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল খোলার কথা বলা হয়। আর এসব লিংকে ক্লিক করলে বা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল চালু করলেই ফোনে বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে তথ্য চুরি করে নেয়।
ভুয়া পরিচয় তৈরি করে প্রতারণা
অনলাইনে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত থাকলে তার সুযোগ নিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এবার এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য কাজে লাগিয়ে ভুয়া পরিচয় তৈরি করছে তারা। পরে তথ্যগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হয়।
ডিপফেক ভিডিও
সাইবার অপরাধীরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন ভুয়া ভিডিও তৈরি করছে, যা ‘ডিপফেক’ ভিডিও নামে পরিচিত। এসব ভিডিওতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করার পাশাপাশি কণ্ঠস্বর ব্যবহার করায় অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এটি নকল ভিডিও। ফলে বিভ্রান্তি তৈরির পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে।