Trending

খাদের কিনারে ব্যাংকখাত

আলোচনায় ‘লাল, হলুদ, সবুজ’ রেটিং, আস্থা নেই বিশেষজ্ঞদের ষ ব্যাংকের প্রফিটেবলিটি, রিটার্ন, প্রফিট কেমন জানা জরুরি: ড. আহসান এইচ মনসুর ষ কিছু ব্যাংকের দুর্দশাগ্রস্ত ঋণকে ভুলভাবে প্রভিশন করে মুনাফা দেখানো হয় : ড. জাহিদ হোসেন ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না : মেজবাউল হক ষ এই রেটিং দিয়ে ব্যাংকের সঠিক অবস্থান বোঝা যায় না

ব্যাংকিং খাতকে বলা হয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি। অসংখ্য প্রান্তিক মানুষের সঞ্চয়ের শেষ ভরসা ব্যাংক। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমতি দেয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় খাদের কিনারে খাতটি। ব্যাংকগুলোতে শৃংখলা ফেরাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও কোনো পদক্ষেপ কাজে আসেনি। বরং রাজনৈতিক কারণে ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ায় অনেক ব্যাংক মালিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারকদের থোরাইকেয়ার করে থাকেন। কিছু ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা এতোটাই নাজুক যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলোকে ‘লাল, হলুদ, সবুজ’ তালিকায় ফেলে অবস্থান নির্ণয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছেÑ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা এবং কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত একটি কাঠামো ‘ক্যামেলস রেটিং’ করা হয়েছে। ক্যামেলস শব্দগুলো পৃথক করলে দেখা যাবেÑ মূলধন, সম্পদ, ব্যবস্থাপনা, আয়, তারল্য ও বাজার ঝুঁকি এই ৬টি উপাদানের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকগুলোর সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়। এই রেটিংয়ের আবার কিছু শ্রেণিবিভাগ রয়েছেÑ ‘এ’ শক্তিশালী, ‘বি’ সন্তোষজনক, ‘সি’ ভালো, ‘ডি’ মোটামুটি এবং ‘ই’ অসন্তোষজনক। এই মাপকাঠি হিসেব করার কথা বললেও এটিও সঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ক্যামেলস রেটিংও ব্যাংকের অবস্থান মূল্যায়নের সঠিক মাপকাঠি নয় বলে মত দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন ‘লাল, হলুদ ও সবুজ’ তালিকায় ব্যাংকগুলোর সঠিক অবস্থান বলার সুযোগ নেই। এটি কোন মাপকাঠিতে করা হয়েছে এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলো সবার আগে চিহ্নিত করতে হবে। এগুলোতে স্বাধীনভাবে বিশেষ নিরীক্ষা চালাতে হবে। ব্যাংকের প্রফিটেবলিটি কেমন, রিটার্ন কেমন, প্রফিট কী হচ্ছে এসব জানা জরুরি। তাহলে অর্থ জমা রাখা বা ব্যাংকিং সংক্রান্ত অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। সঞ্চয়ের পরিমাণের দিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য তার। একই সঙ্গে ডিপোজিট গ্রোথ থেকে বোঝা যায়, ব্যাংক কেমন করছে।

ডলার সঙ্কট, আইএমএফ’র ঋণ এবং সংস্কারের নানামুখী আলোচনায় দীর্ঘদিন থেকেই ব্যাংকিংখাতে অস্থিরতা চলছে। পাশাপাশি ব্যাংক মালিকদের নেয়া খেলাপি ঋণ ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর অনিয়ম ও সুশাসনের অভাবে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা দেখা দেয়। এমনকি কিছুদিন আগেও গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করে বাসাবাড়ি ও অফিসে রাখতে শুরু করেছিলেন। অবশ্য সে অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তরণ ঘটেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহককে ব্যাংকে ফেরাতে নানামুখী উদ্যোগও নিয়েছে। আমানতের সুদহার সীমা তুলে নিয়েছে। ফলে অনেক আমানতকারী আবার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছেন। এছাড়া দেশের ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে রোডম্যাপ বা পথনকশা ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভালো অবস্থানে থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংক পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রেও শর্ত কঠিন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমানো এবং জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে নামিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পথনকশায় পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছেÑ খেলাপি ঋণ কমানো, বেনামি ঋণ ও জালিয়াতি বন্ধ করা, যোগ্য পরিচালক নিয়োগে ব্যবস্থা, উপযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ এবং দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা, যাকে মার্জার বলা হয়। নানাবিধ কারণে দেশের ব্যাংকিংখাত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। সেই চর্চায় নতুন রসদ জুগিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদন ‘লাল, হলুদ ও সবুজ’ তালিকা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ব্যাংক পাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কোন ব্যাংকের কি রেটিং বা কোন অবস্থান। ব্যাংকের আমানতকারীদের মধ্যেও এ নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। বিশেষ করে গত ৪ মার্চ ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। গভর্নরের ওই বক্তব্যের পরই দেশের ব্যাংকগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা তালিকাটি নিয়ে নানা ধরনের জল্পনাকল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ এই স্বাস্থ্য সূচক গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। তবে এই রেটিং নিয়ে অধিকাংশেরই রয়েছে নানাবিধ মতামত। কারোমতে, এটি মনগড়াভাবে তৈরি করা হয়েছে। কারো কারো মতে, এর কোন ভিত্তি নেই। কারণ এমন অনেক ব্যাংক আছে যাদের কোন অবস্থানেই থাকার কথা নয়; যাদের কর্মীরা আতঙ্কে থাকেন আগামী মাসের বেতন পাবেন কিনা। সেই সব ব্যাংককেও রাখা হয়েছে মধ্যমমানের হিসেবে। আবার যারা অনেকটা ভালো করছেন, কোনো কেলেঙ্কারি নেই তাদেরকেও রাখা হচ্ছে একই ক্যাটাগরিতে বা আরও খারাপ মানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংকার বলেছেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা রয়েছে আগামীতে। এ জন্য অনেকেই অর্থের বিনিময়ে ব্যাংকের অবস্থান ক্রয় করেছেন। আবার এই মার্জারের সুবিধা নিতে কিছুটা ভালো মানের ব্যাংককে খারাপ বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল ইনকিলাবকে বলেন, ‘লাল, হলুদ ও সবুজ’ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন দিয়ে ব্যাংকের সঠিক অবস্থান বোঝা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বলেছেÑ এটি ধারণাভিত্তিক। তবে একটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা এবং কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের নানাবিধ মাপকাঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে। সে মাপকাঠি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর অবস্থান সূচকের সঠিক তথ্য রয়েছে।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দেশের ব্যাংকগুলোকে নিয়ে লাল, হলুদ ও সবুজের যে তালিকা করেছে, ইতোমধ্যে সেটিকে ধারণাভিত্তিক তালিকা বলেছে। একই সঙ্গে এ তালিকার ওপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। তবে, অর্থনীতিবিদরা তারল্যসহ আরও কয়েকটি বিষয়কেও মানদণ্ড হিসেবে দেখার কথা বলছেন। ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার যে সরবরাহ তাকেই তারল্য বলা হয়। কোনও কারণে ব্যাংকে নগদ টাকার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেড়ে গেলে তাকে বলে তারল্য সংকট। তারল্য সংকট ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেয় বলে জানান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, এটা সামগ্রিক অর্থনীতিরই বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং নতুন কিছু ব্যাংকের দুর্দশাগ্রস্ত ঋণগুলোকে ভুলভাবে প্রভিশন করে অতিরিক্ত মুনাফা দেখানো হয়। যা ব্যাংকিংখাতের জন্য ক্ষতিকর।

সূত্র মতে, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বহীনতায় দেশের ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য দিন দিন অবনতি হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতায় একাধিক ব্যাংকের মালিক সম্প্রতি দেশে কার্যরত ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৫৪টি ব্যাংক নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গোপন এ সমীক্ষায় ৯টি ব্যাংককে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। আর ২৯টিকে হলুদ তালিকাভুক্ত করে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ভিন্নতা থাকায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক বিশ্লেষণ থেকে বাদ পড়েছে। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। সম্প্রতি ২০২৩ সালের জুন থেকে অর্ধবার্ষিক আর্থিক কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য ব্যাংকের স্বাস্থ্য সূচক তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিভাগ।

ভালো মানের ‘সবুজ’ তালিকায় থাকা একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে বলেন, ব্যাংকগুলোর রেটিং নিয়ে এবার একটু ভিন্নতা লক্ষ্য করেছি। বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র ব্যাংক আল ফালাহ এই ভালো মানের ক্যাটাগরিতে থাকে। ব্যাংকটির অবস্থা আসলেই ভালো। এছাড়া এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডসহ বিদেশি ব্যাংকগুলো নিম্ন ক্যাটাগরিতেই থাকে। আর এবার দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ বিদেশি ব্যাংকই ভালো অবস্থানে। কিসের বিনিময়ে বা কোন তথ্যের ভিত্তিতে হঠাৎ করে বিদেশি ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো হয়ে গেলো প্রশ্ন রাখেন তিনি। এছাড়া ভালো মানে থাকা প্রাইম ও ইস্টার্ন ব্যাংকের সঙ্গে মিডল্যান্ড ও সীমান্ত ব্যাংকের থাকাও সমীচীন মনে হয়নি বলে উল্লেখ করেন।

একইভাবে ‘হলুদ’ মানের ব্যাংকগুলো নিয়েও প্রশ্ন রেখে একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সিটি, ব্র্যাক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে এসবিএসি ব্যাংক এটিও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। একই সঙ্গে এই ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে দীর্ঘদিন থেকে ব্যাংকিংখাতে মাফিয়া হিসেবে পরিচিত একটি শিল্পগোষ্ঠীর হাতে থাকা শরিয়া-ভিত্তিক ব্যাংকগুলো। দীর্ঘদিন থেকে এসব ব্যাংকে রয়েছে সুশাসনের অভাব। এদের আবার দু’একটিতে গ্রাহকের দৈনন্দিন অর্থ ফেরত দিতেও হিমশিম খাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা বেশ নাজুক।

অবশ্য ব্যাংকগুলোর ‘লাল, হলুদ ও সবুজ’ তালিকা নিয়ে গত মঙ্গলবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, যে তালিকা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে, সেটি ধারণাভিত্তিক তালিকা। এই তালিকার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। এটা সঠিক কোনো পদ্ধতি নয়। ব্যাংকের স্বাস্থ্য যাচাই করে দেখার একমাত্র উপাদান নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন। ফলে অন্য কোনো তালিকা বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ নানা সময়ে ব্যাংকের তালিকা করে থাকে। এটি সে রকমই একটি তালিকা।

মেজবাউল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। সেটি না হলে আগামী বছরের মার্চে নীতিমালা অনুযায়ী যারা দুর্বল তালিকায় পড়বে, তাদের একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d