গার্ডিয়ানের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি
‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সংঘর্ষ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনা ছাড়াও আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদের অভিযোগটি তুলে ধরা হয়।
শনিবার (২৯ জুলাই) গার্ডিয়ানের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনপূর্ব নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি করে আসছিল বিরোধীদলগুলো। তারই অংশ হিসেবে শনিবার রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথে বিরোধীদল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পাথর নিক্ষেপ করে। আর পুলিশ তাদের ওপর বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির ছয় নেতা-কর্মী আহত হন এবং তাদেরকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (২৯ জুলাই) গার্ডিয়ানের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনপূর্ব নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি করে আসছিল বিরোধীদলগুলো। তারই অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথে বিরোধীদল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পাথর নিক্ষেপ করে। আর পুলিশ তাদের ওপর বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির ছয় নেতা-কর্মী আহত হন
প্রতিবেদনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ফারুক আহমেদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘কিছু কর্মকর্তা আহত হয়েছেন; আমরা টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছি। বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ শহরের অন্তত চারটি স্থানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ছয় বিক্ষোভকারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে পরিবহন যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। ট্রাক ও বাসগুলো আটকে পড়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং কর্তৃত্ববাদের অভিযোগ রয়েছে। বছরের শুরু থেকে বিএনপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ ক্রমবর্ধমান সাধারণ হয়ে উঠেছে, এই মাসে সমাবেশে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে আসে। এই সপ্তাহে বিএনপির কার্যালয়ের বাইরের সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশের আগেই পুলিশ অন্তত ৫০০ বিরোধীদলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পশ্চিমা সরকারগুলোর উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল আইনসভায় আধিপত্য বিস্তার করে। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনির বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে আটক, শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং শত শত নেতা ও সমর্থককে গুম করার অভিযোগ রয়েছে। অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিজাত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তা বাহিনী এবং এর সাতজন সিনিয়র অফিসারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিএনপি নেত্রী ও দুই বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে গৃহবন্দী রয়েছেন।