Uncategorized

গ্রহাণু ও ধূমকেতু শনাক্তে সফল নিওওয়াইজ টেলিস্কোপ ধ্বংস করবে নাসা, কেন জানেন

মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনের জন্য বিভিন্ন ধরনের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে থাকে নাসা। হাবল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের কথা বেশি শোনা গেলেও পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা গ্রহাণু ও ধূমকেতুর ওপর নজর রাখা নিওওয়াইজ স্পেস টেলিস্কোপের কথা অনেকেই জানেন না। ১৫ বছর ধরে নিওওয়াইজ স্পেস টেলিস্কোপটি পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা গ্রহাণু ও ধূমকেতুর অবস্থান শনাক্ত করলেও এবার তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছে নাসা।

নাসার তথ্যমতে, নিওওয়াইজ (নেয়ার আর্থ অবজেক্ট ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার) টেলিস্কোপের ট্রান্সমিটার এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণু ও ধূমকেতু শনাক্তের জন্য ১৫ বছর ধরে সক্রিয় ছিল টেলিস্কোপটি। প্রথমে সাত মাসের জন্য মহাকাশে পাঠানো হলেও ১৫ বছর কাজ করেছে টেলিস্কোপটি। সব মিলিয়ে ২৫টি নতুন ধূমকেতুসহ দুই শর বেশি অজানা বস্তু শনাক্ত করেছে এই টেলিস্কোপ। এ ছাড়া মহাকাশে থাকা প্রায় ৪৪ হাজার বস্তুর বিষয়েও তথ্য সরবরাহ করেছে। জীবনকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় টেলিস্কোপটি ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের অধ্যাপক অ্যামি মেনজার লস বলেন, ‘নিওওয়াইজ টেলিস্কোপ সত্যিই তার আসল জীবনকাল শেষ করেছে। আমরা যা পাওয়ার আশা করছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।’ ২০০৯ সালে নিওওয়াইজ স্পেস টেলিস্কোপ ওয়াইজ মহাকাশ মিশন নামে পাঠানো হয়। আলোচিত টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মতোই বেশ শক্তিশালী ছিল এই টেলিস্কোপ। চালুর সাত মাস পর দেখা যায় এই টেলিস্কোপ অনেক বেশি সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করছে। পরবর্তী সময়ে টেলিস্কোপটি ২০১১ সাল পর্যন্ত কাজ করবে বলে জানানো হয়েছিল।

জানা গেছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংস করা হবে নিওওয়াইজ টেলিস্কোপটি। এরপর নিওওয়াইজ টেলিস্কোপের চেয়েও শক্তিশালী ‘নিও সার্ভেয়ার’ নামের নতুন একটি টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানো হবে। তবে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button