ট্রাম্পকে যে কারণে ইনজেকশন নিতে বললেন বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছেন। বলেছেন, গতকাল শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি এই হাসিঠাট্টা করেন। তিনি বলেন, তাঁর ইচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করুক।
করোনা মহামারির শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিস (ব্লিচ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) ব্যবহার করা যেতে পারে। টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প এমন অদ্ভুত প্রস্তাব দেন। তাঁর এমন প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। ট্রাম্পের করা এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন এমন কথা বলেন।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে গতকাল সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বাইডেন বলেন, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। জনগণকে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেন বাইডেন।
নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ও রিপাবলিক নেতা ট্রাম্পের মধ্যে ব্যাপক বাগ্যুদ্ধ চলছে। দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
গতকালের অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘মনে আছে, তিনি (ট্রাম্প) বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো কাজটি হলো আপনার হাতে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা ব্লিচ প্রয়োগ করা। তিনি এমনটা বলেছিলেন। আর তিনি এমনটাই ভাবেন। আমার ইচ্ছা, তিনি নিজেই নিজের শরীরে এর কিছুটা প্রয়োগ করবেন।’
২০২০ সালে করোনা মহামারি চলার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, মানুষের শরীরে ব্লিচ কিংবা আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের মতো জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা হলে, তা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের কাছ থেকে ট্রাম্পের পাওয়া চিঠি প্রসঙ্গেও কথা বলেন বাইডেন। সে চিঠিকে ‘প্রেমপত্র’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও বাইডেন ভুল করে কিমকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন।
কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের দেখা হয়েছিল এবং তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কয়েকটি চিঠি বিনিময় করেছেন। সেই চিঠিগুলোর কপি তিনি ওভাল অফিসে একটি ফাইলে রেখেছিলেন।
বাইডেনের বক্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাইডেন এর আগেও ট্রাম্পের ব্লিচ ব্যবহার–সংক্রান্ত মন্তব্যটি নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছেন। গত ২৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে ইনজেকশন নিয়েছেন এবং এর সবই তাঁর চুলে চলে গেছে।