দিল্লিতে কংগ্রেসের জোট ছাড়ল কেজরিওয়ালের আপ
ভারতের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকবে না আম আদমি পার্টি (আপ)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল জানিয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ জোট কেবল লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে রাজধানীতে পূর্ণ শক্তি নিয়েই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন কেজরির বাড়িতে আপের বিধায়ক ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা একটি বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী গোপাল রাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিধানসভা নির্বাচনে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো রকম জোটে থাকতে চান না। একাই লড়তে চান।
গোপাল বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বিজেপিবিরোধী ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলা হয়েছিল।
অনেক দল ওই জোটের শরিক হিসেবে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়েছে। আপও তার অন্যতম অংশ ছিল। কিন্তু আপাতত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আপ কোনো জোটে নেই।’
আপের সর্বময় নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে জেলবন্দি।
তাই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তাদের লড়তে হয়েছে বলে দাবি করেন গোপাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা জেলে। আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। কেজরির গ্রেপ্তারিতে দলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। তবে তা সত্ত্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেছি।
দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান অনেক কমেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৮ জুন আমরা কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক করব। ১৩ তারিখ বৈঠক হবে দিল্লিতে দলের কর্মীদের সঙ্গে। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে মোটেই ভালো ফল করতে পারেনি আপ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও লাভ হয়নি। রাজধানীর সাতটি আসনই দখল করেছে বিজেপি। আপ-কংগ্রেস জোট সেখানে শূন্য। শুধু দিল্লিতেই নয়, সারা দেশে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে কেজরির দল। তিনটিই পাঞ্জাব থেকে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে তারা একাই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে ২৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে আগামী রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।