International

দুই বছরের মধ্যে অর্ধেক অভিবাসী নেবে অস্ট্রেলিয়া, ইংরেজি হবে কঠোর

বর্তমানে যে পরিমাণ অভিবাসী নেয় অস্ট্রেলিয়া, আগামী দুই বছরের মধ্যে তার অর্ধেক নেবে। এ লক্ষ্য স্থির করে শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি পরীক্ষা কঠোর করছে। দেশটি মনে করছে অভিবাসীর কারণে তাদের অভিবাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। তাই এই ব্যবস্থা। এই হিসাবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বার্ষিক ভিত্তিতে তারা নতুন নেয়া অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আড়াই লাখে নিয়ে যাবে। এটা করোনা মহামারির আগের পর্যায়ের অবস্থা।

নতুন পরিকল্পনায় বিদেশি শিক্ষার্থী এবং অদক্ষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ভিসা আইন কঠোর করা হবে। খবরে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর ফলে সেখানকার গৃহায়ন এবং অবকাঠামোর ওপর বিরূপ চাপ পড়েছে।

তবুও সেখানে দক্ষ শ্রমিকের সঙ্কট রয়েছে। এ জন্য দক্ষ শ্রমিক আকৃষ্ট করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।  সোমবার তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নেইল নতুন ১০ বছর মেয়াদী অভিবাসন কৌশল প্রকাশ করেছেন ব্রিফিংয়ে। বলেছেন, অভিবাসন ব্যবস্থাকে পূর্ববর্তী সরকার বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।

ওদিকে এ বছরের শুরুর দিকে দেখা যায়, অভিবাসন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। অপ্রয়োজনে তা জটিল, ধীর এবং অকার্যকর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বড় রকমের সংস্কার প্রয়োজন। উল্লেখ্য, এ বছর জুন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন রেকর্ড ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষ। তাই মন্ত্রী বলেছেন, এই সংখ্যাকে তার সরকার নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে যাবে। বার্ষিক ভিত্তিতে অভিবাসী নেয়া কমিয়ে দেবে শতকরা ৫০ ভাগ। তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ভাষা কঠোর করা হবে। দ্বিতীয়বার ভিসার আবেদনকে কড়া যাচাই বাছাই করা হবে। তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে, আরও পড়াশোনা করে তার একাডেমিক উচ্চাকাঙ্খা অথবা ক্যারিয়ার উন্নত হবে। 

সরকারি হিসাবে অস্ট্রেলিয়াতে বর্তমানে অবস্থান করছেন প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যবহার করছেন দ্বিতীয় ভিসা। বিশেষজ্ঞ, অত্যাবশ্যকীয় দক্ষতা- যেমন উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মী বা কেয়ার ওয়ার্কারের জন্য ভিসা পাওয়ার উপায়কে উন্নত করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ী আবাসনের উন্নত সুযোগ দেয়া হবে। নতুন এই পলিসির অধীনে অস্ট্রেলিয়ায় যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি কর্মী আকৃষ্ট হবে। বিরোধী দলের অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র ড্যান তেহান বলেন, করোনা মহামারি থেকে অস্ট্রেলিয়াকে উদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য যে অভিবাসন নীতি গৃহীত হয়েছে তা ছিল খুবই ধীর গতির।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button