International

ধর্মীয় স্বাধীনতা: ভারতকে বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ ঘোষণা করার আহ্বান

মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের আওতায় ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে আবার আহ্বান জানিয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সে দেশের একটি সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এ আহ্বান জানায় ‘ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)’। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থা। দেশে দেশে ধর্মীয় আচরণসহ ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজর রাখে সংস্থাটি।

ইউএসসিআইআরএফ বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার দেশের বাইরে থাকা অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের মুখ বন্ধ রাখতে যেভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে, তা ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ভারত পদ্ধতিগতভাবে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতা হনন করছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা হননের চলমান এ তৎপরতার কারণে ভারতকে বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অনুরোধ করছে ইউএসসিআইআরএফ।

সম্প্রতি কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে আরেক শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ দুই ঘটনায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগকে গভীর উদ্বেগের বিষয় বলেছেন ইউএসসিআইআরএফের কমিশনার স্টিফেন শেনেক।

সংস্থাটির আরেক কমিশনার ডেভিড কারি বলেছেন, এত দিন শুধু ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিগ্রহ চলছিল। কিন্তু এখন দেশের বাইরে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরও নিগ্রহ চলছে। এটা খুবই বিপজ্জনক বিষয়, যা কোনোভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

ইউএসসিআইআরএফের এ আহ্বানের বিষয়ে জানতে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। আর ধর্মীয় নিগ্রহের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে ভারত সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের আওতায় ভারতকে উদ্বেগের দেশ ঘোষণা করার জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর পররাষ্ট্র দপ্তরকে সুপারিশ করে আসছে ইউএসসিআইআরএফ। ১৯৯৮ সালে প্রণীত ওই আইনের আওতায় উদ্বেগের দেশ ঘোষণা করা হলে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা বিশেষ কোনো সুবিধা বাতিল করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য সেটি বাধ্যতামূলক নয়।

২০২০ সালে ইউএসসিআইআরএফ প্রথমবার ভারতকে বিশেষ উদ্বেগের দেশ ঘোষণার সুপারিশ করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংস্থাটির এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। তখন এ মন্ত্রণালয় ইউএসসিআইআরএফের করা সুপারিশকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যমূলক’ বলে বর্ণনা করেছিল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button