নাসার তৃতীয় আর্টেমিস অভিযানে চাঁদের যে ৯ স্থানে মানুষ নামতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৃতীয় আর্টেমিস অভিযান নিয়ে বিজ্ঞানীরা ভীষণ আশাবাদী। এই অভিযানের অধীনে নভোচারী নিয়ে চাঁদে নভোযান অবতরণ করানো হবে। এ জন্য ৯টি সম্ভাব্য স্থান বাছাই করা হয়েছে। নাসার তৃতীয় আর্টেমিস অভিযানের মাধ্যমে ৫০ বছরের বেশি সময় পর চাঁদে মানুষের পা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
চাঁদের এই অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রকৌশলীদের তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত ৯টি প্রস্তাবিত অবতরণ অঞ্চল হচ্ছে ক্যাবিউস বিয়ের কাছের শিখর, হাওর্থ, ম্যালাপার্ট ম্যাসিফ, মন্স মাউটন মালভূমি, মনস মাউটন, নোবিল রিম ১, নোবিল রিম ২, ডি গের্লাচে রিম ২ ও স্লেটার প্লেইন।
নাসা জানিয়েছে, এ ৯টি স্থানের প্রতিটিই পাথুরে এলাকা। এসব এলাকা থেকে চন্দ্রসম্পদ ও সৌরজগতের বিস্তৃত ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভের সুযোগ আছে। মনুষ্যবাহী অভিযানের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। এই এলাকা স্থায়ীভাবে অন্ধকার অঞ্চল, যেখানে পানির উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নাসার বিজ্ঞানী লাকিশা হকিনসের ভাষ্যে, আর্টেমিসের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পৌঁছাবে। অনাবিষ্কৃত অনেক এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে। নতুন নির্বাচিত চন্দ্র এলাকা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত। এসব এলাকা নিরাপদে অবতরণ করার সুযোগ আছে। অভিযাত্রীরা নতুন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সুযোগ পাবেন সেখানে।
অপর বিজ্ঞানী সারাহ নোবেল বলেন, অ্যাপোলো অভিযানের সময় যেখানে অবতরণ করা হয়, তার চেয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ দেখা যায়। এই এলাকা চাঁদের প্রাচীনতম ভূখণ্ড রয়েছে। এখানে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত অঞ্চলে পানি ও অন্যান্য যৌগ থাকতে পারে। দক্ষিণ মেরুতে এসব স্থান নির্ধারণ করার জন্য নাসার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু বিশ্লেষণ করেছে। বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা, অবতরণের সুযোগ, চন্দ্র ভূখণ্ডের উপযুক্ততা, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় ও আলোর অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ৯টি জায়গায় নির্ধারণ করা হয়েছে। নাসার প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী জ্যাকব ব্লিচার বলেন, তৃতীয় আর্টেমিস অভিযানে প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন।