Trending

বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্যের উপর ‘ল্যান্ডিং চার্জ’ বসানোর দাবি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

ইউরোপসহ নানান দেশে রপ্তানির জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তৈরি পোশাকের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা চাইছেন তাদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। নিজেদের রপ্তানি পণ্যের জন্য বাড়তি মাশুল দিয়ে জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন, এমনটাও জানাচ্ছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।

ভারতের দিল্লি হয়ে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে গার্মেন্টসের পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটেছে এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে। তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজিএমইএ বলছে যে, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দাবি খুবই অযৌক্তিক। কারণ, বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সামান্য একটা অংশই ভারতের মাধ্যমে যায়। ফলে তাদের পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে ‌‘মালামালের জট’ লাগার কথা না।

আগে ঢাকা থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটা অংশ রপ্তানি হত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বন্ধ হয়ে তা চলে যায় দিল্লিতে।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের, তার সমাধান হিসাবে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছে।

ভারতীয় রপ্তানিকারকদের একাংশ থেকে দাবি উঠছে যে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্য যা দিল্লি বিমানবন্দরের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলিতে পাঠানো হচ্ছে, তার ওপরে একটা ‘ল্যান্ডিং চার্জ’ বসানো হোক। ফলে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপরে বাড়তি মাশুল চাপবে, এতে ভারত হয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি কমবে।

এ বিষয়ে অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপরে ল্যান্ডিং চার্জ লাগালে তাতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কোনও সুবিধাই হবে না। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের বাড়তি খরচ হবে, কিন্তু তাতে আমাদের তো কোনো লাভ নেই। ওই ল্যান্ডিং চার্জ তো যাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমার জানামতে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের সামান্য কিছু অংশ ভারত হয়ে যায়। কিন্তু তার জন্য ভারতীয়দের পণ্য রপ্তানিতে সমস্যা হবে বা এয়ারপোর্টে মালামালের জট লেগে যাবে, সেটি হওয়ার কথা না।

কিন্তু বাস্তবে যদি এমনটি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্যের উপর এক্সট্রা ল্যান্ডিং চার্জ বসানোর দাবি না তুলে বরং তাদের উচিৎ বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button