বিশ্বকে হতভম্ব করে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রদর্শন চীনের
চমকে দিল চীন। গোটা দুনিয়া হতভম্ব। আমেরিকার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এ যেন ম্যাজিক। বৃহস্পতিবার ছিল মাও-জে-দংয়ের জন্মদিন। চীনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডুর আকাশে হঠাৎ উড়তে শুরু করে এক ত্রিভূজাকৃতি অদ্ভূত-দর্শন বিমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে তেমনই বেশ কিছু ছবি।
বিশেষজ্ঞরা ওই সব ছবির সত্যতা যাচাই করেছেন। কী বিমান, কেন উড়ল, তা বেইজিং কিছু জানায়নি। অফিশিয়াল কোনও ভিডিও প্রকাশ করেনি। তাই, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া ছবিই দেখতে পাচ্ছেন সবাই। সকল অ্যাভিয়েশন এক্সপার্টরা বলছেন, এগুলো আসলে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। মানে দুনিয়ার সর্বাধুনিক, সবচেয়ে উন্নত এয়ারক্রাফট। যা নাকি আমেরিকাও এখনও তৈরি করতে পারেনি। চীনের চেংদু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন ওই দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা। আর চেংদুর আকাশেই বিমান ওড়ায় সবাই দুয়ে দুয়ে চার করে নিয়েছেন। চীনা সংবাদমাধ্যমেও এই নিয়ে খোলসা করে কিছু লেখা হয়নি। কেউ কেউ শুধু লিখেছে যে, এই বিমানগুলোর তিনটে ইঞ্জিন। সেটাও দুনিয়ায় প্রথম। পশ্চিমা দেশগুলোর ডিফেন্স এক্সপার্টরা এই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছেন। ছবি দেখে তাদের চোখেও ধরা পড়েছে তিন ইঞ্জিনের বিমানের নকশা।
চীন যে বহুদিন ধরেই ফাইটার জেট নিয়ে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাচ্ছে সেটা একরকম ওপেন সিক্রেট। ন্যান্টিয়ানমেন প্রজেক্ট বলে ওরা। তাই সিক্সথ জেনারেশন স্টেলথ এয়ারক্রাফট ওদের পক্ষে তৈরি করে ফেলা অসম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে চীনের গুয়াংডং প্রদেশে লালফৌজ একটা এয়ার শোয়ের আয়োজন করেছিল। সেখানে ওরা কিছু বিমান আকাশে ওড়ায়। কিছু বিমান মাটিতে দাঁড় করানো ছিল। সেইসময় লালফৌজ দাবি করে যে তাদের হাতে এসেছে হোয়াইট এম্পারার। যা কিনা বিশ্বের প্রথম ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে দাবি করা হয়েছে, তাদের দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না এই নতুন ফাইটার প্লেন তৈরি করেছে, যাকে কোনও র্যাডারেই শনাক্ত করা যাবে না। আর মিসাইল তো সেকেলে ব্যাপার! হোয়াইট এম্পারারে রয়েছে লেসার ওয়েপন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ। যা কিনা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে থাকা শত্রুর গুপ্তচর উপগ্রহকেও অকেজো করে দিতে পারবে। মাওয়ের জন্মদিনে যে প্লেনগুলো চীনের আকাশে উড়ল সেগুলোই এই হোয়াইট এম্পারার কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে, কেউই কিন্তু এককথায় চীনের দাবিকে বোগাস বলে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। বরং লালফৌজের হাতে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এসে গিয়েছে বলেই বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।