বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের প্রথম ১০টিই আফ্রিকার: আইএমএফ’র প্রতিবেদন
মাথাপিছু জিডিপি হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তালিকায় দরিদ্রতম ১০টি দেশই আফ্রিকা মহাদেশের। বিভিন্ন দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে মাথাপিছু জিডিপির সমন্বয় করে এই তালিকা তৈরি করেছে আইএমএফ।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী- জিডিপির হিসাবে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ হলো দক্ষিণ সুদান। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ৪৯২ দশমিক ৭২ ডলার। দক্ষিণ সুদানের রাজধানীর নাম জুবা। ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটি পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশের মধ্যে চলে এসেছে। তেলের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সাউথ সুদান তাদের অর্থনীতি মজবুত করতে পারেনি। আইএমএফের সূচকে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ৯৩৬ দশমিক ৪২ ডলার। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সাধারণ জিনিসগুলোর জন্য এখনও লড়তে হচ্ছে বুরুন্ডিকে।
তালিকায় এরপরই রয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বা মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের নাম। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি এক হাজার ১৪০ ডলার। সোনা-তেল-ইউরেনিয়াম-হীরার মতো বহু মূল্যবান রত্নভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্যে ডুবে আছে এই দেশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যা ৫৫ লাখ।
আইএমএফের সূচকে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে আছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৫৭০ ডলার। এরপরের অবস্থানে আছে মোজাম্বিক। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৫০ ডলার। তালিকায় ষষ্ঠ দেশের নাম হলো মালাবি। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৭১০ ডলার। এরপরই আছে নাইজার, চাদ, লাইবেরিয়া ও মাদাগাস্কার। এসব দেশের মাথাপিছু জিডিপি যথাক্রমে ১ হাজার ৭৩০, ১ হাজার ৮৬০, ১ হাজার ৮৮০, ১ হাজার ৯৯০ ডলার।
অন্যদিকে, এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে ইয়েমেনকে চিহ্নিত করেছে আইএমএফ। তবে দেশটিতে চলমান সংঘর্ষের কারণে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কঠিন হয়ে পড়ে। আইএমএফ’র এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হলো, এসব দেশে দারিদ্র্যের মূল কারণগুলোর ব্যাপারে বিশ্বকে জানানো। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা, এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা গেলে এসব দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হয়ে উঠবে।