বেজিংকে রুখতে ভারতের হাতে আসছে ‘তুশীল’ ও ‘তমাল’
বহুদিন আগেই ভারতে আসার কথা ছিল ‘তাদের’ । কিন্তু বাধ সাধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গত দুবছরে মস্কো লড়াইয়ের ময়দানে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় রণতরীগুলো তৈরির কাজ পিছিয়ে যায়। তবে এবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হওয়ার পরে রাশিয়ায় নির্মিত ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এই বছরের শেষ নাগাদ যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, মেটেরিয়াল ডিরেক্টরেটের প্রধানের একটি ভারতীয় নৌবাহিনীর দল সম্প্রতি প্রকল্পটি তদারকি করতে রাশিয়ায় ছিল এবং রাশিয়ান শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেছে যেখানে প্রোগ্রামটি পর্যালোচনা করার জন্য ফ্রিগেটগুলি তৈরি করা হচ্ছে। সেসব দেখে এসেই তারা জানিয়েছে খুব দ্রুত ভারতের হাতে আসছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক দুটি রণতরী -‘ আইএনএস তুশীল’ ও ‘ আইএনএস তমাল’। নৌবাহিনীর আধিকারিকদের মতে, এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রকল্পের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি করেছে যেমন রাশিয়ায় নির্মিত ফ্রিগেটে ইউক্রেনীয় ইঞ্জিন লাগানো, সেই কাজ করতে ভারতীয় নৌ শিপইয়ার্ড থেকে কর্মী পাঠাতে হয়েছিল। নৌসেনার কর্তারা জানান, “তুশীল নামের যুদ্ধজাহাজটির নির্মাণকাজের দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম রণতরীটি পানিতে নেমে গিয়েছে।
রুশ সেনাবাহিনী তাতে নানা রকম পরীক্ষানিরিক্ষা চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে সেগুলো আমাদের হাতে আসবে।” প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে রাশিয়ার সহযোগিতায় আরও দুটি রণতরী তৈরি হচ্ছে দেশের মাটিতে।ভারতের গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেড (জিএসএল) এ রুশ সহায়তায় নির্মিত অন্য দুটি যুদ্ধজাহাজের কাজও ভালো গতিতে এগিয়ে চলেছে।জিএসএ অদূর ভবিষ্যতে পরীক্ষার জন্য প্রথম যুদ্ধজাহাজ চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ২০২৬সালের মাঝামাঝি সময়ে ডেলিভারি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসলে ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চীন। অভিযোগ , ভারতের হাঁড়ির খবর বের করতে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে তারা । গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। আর তাই বেজিংকে রুখতে আরও নৌবাহিনীর হাত আরো শক্ত করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ।