ভারত-পাকিস্তান আকাশযুদ্ধ চীনের অস্ত্রশক্তির রণক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য উত্থান

চীনা যুদ্ধবিমান এবং রণপ্রযুক্তির দুর্দম আধিপত্যের মহাকাব্য লিখল পাকিস্তান
যুদ্ধের ধোঁয়াশা কাটতেই পাকিস্তানের চাঞ্চল্যকর দাবি, পাক বাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে। যার মধ্যে ছিল তিনটি রাফায়েল,ভারতের গর্ব।
৬ থেকে ৭ মে রাতের অন্ধকারে, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে মুখোমুখি হলো ভারত এবং পাকিস্তান। একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আকাশযুদ্ধের রণাঙ্গনে। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ল ১২৫টি যুদ্ধ বিমান। যেখানে সংখ্যার দিক থেকে ভারত ছিল এগিয়ে। কিন্তু এই যুদ্ধের ফলাফল বিশ্বকে হতবাক করল, চীনের তৈরি অস্ত্রশক্তির দাপটে। রণ- কিন্তু প্রযুক্তিগত মোড় ইতিহাসকে ঘুরিয়ে দেয় পাকিস্তানের পক্ষে।
যুদ্ধের ধোঁয়াশা কাটতেই পাকিস্তানের চাঞ্চল্যকর দাবি, পাক বাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে। যার মধ্যে ছিল তিনটি রাফায়েল,ভারতের গর্ব। ফ্রান্সের তৈরি ৪.৫ প্রজন্মের অত্যাধুনিক ফাইটার। এই খবর বিশ্ব সামরিক মহলে ঝড় তুলল। রাফায়েল, যা প্রথমবার যুদ্ধে ধ্বংস হলো, সে ঘটনা নিজেই একটি বড় সংবাদ। কিন্তু এর পেছনে ছিল চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। সাফল্যের পথ করেছে ছিল চীনের তৈরি জে-১০সিই জঙ্গি বিমান, পিএল-১৫ বিভিআর ক্ষেপণাস্ত্র, এইএসএ রাডার সিস্টেম এবং উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি। এ সব মিলে বিশ্বকে চীনের প্রযুক্তিগত দাপটের সামনে হতচকিত করল।
এই মহাযুদ্ধের পর পশ্চিমা ও চীনা বিশ্লেষকরা সংবাদমাধ্যমে বলছেন, এমন উন্নত অস্ত্রের বাস্তব রণাঙ্গনে ব্যবহার ভবিষ্যৎ মহাশক্তির যুদ্ধের পূর্বাভাস। এটি বিশ্লেষণ করা হবে অতি নিবিড়ভাবে—যেন একটি রণাঙ্গনের দাবার ছক। বিশ্বের সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাটি শুধু একটি সংঘর্ষ নয়, বরং একটি পরিস্কার বার্তা যে চীনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এখন বাস্তব যুদ্ধে পরীক্ষিত।

রণক্ষেত্রের নাটকীয় মোড় এনেছে চীনা প্রযুক্তি আর পাকিস্তানের রণ-কৌশলের সমন্বয়। নিউজউইকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) অ্যাসোসিয়েট ফেলো ওয়াল্টার ল্যাডউইগ বলেন, এই যুদ্ধ আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই ঐতিহাসিক আকাশযুদ্ধের দিনে, যা আমরা দশকের পর দশক দেখিনি। যুদ্ধ বিমানের যুগ পিছনে চলে গিয়েছিল, কিন্তু এখন দুটি দেশ তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি লড়ছে—এটি রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্রের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের স্বরূপ।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ডগলাস ব্যারি রয়টার্সকে বলেন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিমানযুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনা থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন, রণ—কৌশল, রণপদ্ধতি, যুদ্ধসরঞ্জাম, কী কাজ করল, কী ব্যর্থ হলো। জানতে মরিয়া তারা। এটি যেন একটি যুদ্ধের গোপন পাণ্ডুলিপি।”
চীনা প্রযুক্তির জয়গান এবারে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পাাশাপাশি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সুসমস্বয়ও প্রকাশ পায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক ছিল উন্মুক্ত উৎস বা ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসা তথ্য, চীনের তৈরি জে-১০সিই যুদ্ধবিমান সরাসরি একটি রাফায়েলকে গুলি করে নামিয়েছে। ফলাফল, চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন-এর শেয়ারদর মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় লাফিয়ে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে রাফায়েলের বাজার দরে দেখা গেছে নিম্নগতি। অন্যদিকে বাজার পড়ে যায়।
ল্যাডউইগ বলেন, রাফায়েল ভারতীয় বিমানবাহিনীর শীর্ষ ফাইটার, এটি কেনা ছিল তাদের আধুনিকীকরণের মূল স্তম্ভ বা মেরুদণ্ড। এমন একটি বিমান ধ্বংস হওয়া চীনের জন্য অভাবনীয় জয়। এই বিমান পতনের অর্থ শুধু একক যুদ্ধ হার নয়, বরং ভারতের এক প্রজন্মের সামরিক বিনিয়োগ নিয়েও ওপর প্রশ্ন ওঠে। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিক্রমও প্রকাশ পেয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসির স্টিমসন সেন্টারের চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ ইয়ুন সান ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, চীনের তৈরি ফাইটার দিয়ে রাফায়েল ধ্বংস হওয়া বেইজিংয়ের জন্য আনন্দের বিস্ময়। আসল যুদ্ধে সফলতা যেকোনো সামরিক প্রযুক্তির সেরা বিজ্ঞাপন। এমনটি আর কী হতে পারে? পাক-ভারত আকাশযুদ্ধের এই ফলাফল হতবাক করার মতোই।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়, চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ, প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেরা, দ্রুত ভারতের কাছ থেকে তথ্য পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। বিশেষত চীনা জে-১০সিই’র রাডার ও ইলেকট্রনিক সিগনেচার সংক্রান্ত তথ্য। তাদের উদ্দেশ্য, নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই তথ্য অনুযায়ী প্রস্তুত করা। তারা চায় নিজ নিজ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষিত করতে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুশান্ত সিং বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা—প্রথমবার চীনের সামরিক সরঞ্জাম পশ্চিমা শীর্ষ স্তরের সিস্টেমের বিরুদ্ধে পরীক্ষা হয়ে গেলো। এর ফলাফল তাইওয়ান এবং পশ্চিমা প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানদের নতুন করে ভাবাবে। চীনের মতো কম খরচে উচ্চ প্রযুক্তির সক্ষমতার প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের কোশেশ করবে।
পাকিস্তানের সাহসিকতা এবং চীনের অস্ত্রের রণজয় দেখতে পেলো দুনিয়া। দ্য টেলিগ্রাফে চীনের গ্লোবাল টাইমসের প্রাক্তন সম্পাদক হু সিজিন বলেন, এই যুদ্ধ প্রমাণ করল চীনের সামরিক উৎপাদন রাশিয়া ও ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে গেছে। তাইওয়ানের এখন আরও ভয় পাওয়া উচিত। এই লড়াইয়ে শুধু যুদ্ধ বিমান নয়, চীনের অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (এইএসএ) রাডার এবং পিএল-১৫ বিয়ন্ড-ভিজুয়াল-রেঞ্জ (বিভিআর) ক্ষেপণাস্ত্রেরও জয়গান গাইল।
বিভিআর বা বিয়ন্ড-ভিজুয়াল-রেঞ্জ মিসাইল হলো এমন অস্ত্র, যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে রাডারের সাহায্যে লক্ষ্যে আঘাত করে। এইএসএ রাডার হলো অত্যাধুনিক স্ক্যানিং প্রযুক্তি, যা একাধিক লক্ষ্য গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

পাকিস্তানের ডেপুটি চিফ অফ এয়ার অপারেশনস আওরঙ্গজেব আহমদ গর্বের সঙ্গে বলেন, এই এক ঘণ্টার আকাশযুদ্ধ বিমান প্রশিক্ষণের শ্রেণিকক্ষে পড়ানো হবে। আমরা শত্রুকে রণকৌশলের পাঠ দিয়েছি। তিনি নিশ্চিত করেন, পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন সংস্করণ এ যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরইউএসআই’র গবেষক রবার্ট টলাস্ট বলেন, পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এইএসএ রাডারের সঙ্গে বিভিআর ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে যুদ্ধে সফলতা চীনের প্রযুক্তির শক্তি প্রমাণ করে। পশ্চিমা দেশ ও রাশিয়া দশক ধরে এইএসএ পরীক্ষা করলেও, এই সংঘর্ষের তথ্য, যেমন প্রতি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা, চীনের সিস্টেমের সক্ষমতা মূল্যায়নে অমূল্য হয়ে উঠেছে।
যুদ্ধ প্রমাণ করল পিএল-১৫ হয়েছে আসমানের শাসক। চীনা বিশ্লেষকরা পিএল-১৫কে শীর্ষ বিভিআর ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে গণ্য করেন। সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালিসিসের ফ্যাবিয়ান হফম্যান বলেন, যদি হামলার বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়, তবে এটিই হবে চীনের মহাকাশ প্রযুক্তির বিশ্বমঞ্চে প্রদর্শন। তিনি যোগ করেন, তাইওয়ান সংঘাতে চীনের প্রযুক্তি রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের মতো দুর্বল কার্যকারিতা দেখাবে না। চীন প্রযুক্তি অনেক উন্নত।
পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে এইএসএ রাডার দ্বারা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি গিয়ে এর নিজস্ব রাডার সক্রিয় হয়ে ওঠে। লক্ষ্য স্থির বা লক করে তারপর নির্ভুল আঘাত হানে। এর ডুয়েল-পালস মোটর ১০ কিলোমিটার দূর থেকে অতিরিক্ত গতি যোগ করে। হফম্যান বলেন, এক বিশেষ অঞ্চলে ঢোকার পর এই ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে পালাবার আর পথ নেই। অথাৎ ‘নো-এস্কেপ জোন’ রয়েছে। যেখানে লক্ষ্যবস্তু পালানোর কোনো সুযোগই পায় না। হয়ত লক্ষ্যবস্তু তখন ইয়া নফসি ইয়া নফসি জপতে হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চিং জেটকে যে যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া হয় তাকে পাল্টা আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাণঘাতী সক্ষমতা অটুট রাখে।
যুদ্ধ হলো পাকিস্তান ভারতে আর বিশ্বজয় করল চীনের রণকৌশল। চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ রিক জো পাকিস্তানে দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, এই যুদ্ধ চীনের বিমান সক্ষমতার প্রোফাইল বিশ্বব্যাপী বাড়িয়েছে। যারা চীনের প্রতিরক্ষা খাতকে পর্যবেক্ষণ করছেন তাদের কাছে জে-১০সি এবং পিএল-১৫-এর কর্ম-তৎপরতা বা পারফরম্যান্স কোনো বিস্ময় নয়। চীনের জন্য এই সংঘর্ষ শুধু বিমান নয়, বরং এর সঙ্গে থাকা এইএসএ রাডার এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারও সুযোগ ছিল। রবার্ট টলাস্ট, আরইউএসআই-র গবেষক বলেন, যদি পিএল-১৫এর আঘাত নিশ্চিত হয়, তবে এই ঘটনা চীনের এইএসএ রাডার এবং বিভিআর ক্ষেপণাস্ত্রের যুগল ব্যবহার যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, তার মূল্যবান উদাহরণ হয়ে থাকবে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যে, পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম চীন থেকে আসে। পাকিস্তানের চার শতাধিক বিমানের অর্ধেকের বেশি এসেছে চীন থেকে। জার্মান মার্শাল ফান্ডের অ্যান্ড্রু স্মল বলেন, চীনের সরঞ্জাম পাকিস্তানকে তাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের মেলাঘরে পরিণত করেছে। স্মল আরও বলেন, পরমাণু বোমা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেত্রে সহযোগিতা ছাড়াও চীন আগে ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি এবং ছোট অস্ত্রের মতো নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ করত। এখন পাকিস্তান চীনের নতুন সক্ষমতার মেলা বা আড়ং হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, এবং ইসরায়েল থেকে অস্ত্র কিনছে। ল্যাডউইগ বলেন, পাকিস্তানের সুবিধা তাদের দ্রুত সরবরাহকারী দেশ চীন। ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট এবং আধুনিকীকরণ কর্মসূচি কাগজে-কলমে বড় হতে পারে রাশিয়া ও ফ্রান্স ধীরগতির অস্ত্র সরবরাহকারী। ভারতে এখনও সাবেক কালের পুরনো মিগ বিমানে উড়ছে।
ভবিষ্যতের রণাঙ্গন স্বরূপ নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছে। চীন ছাড়া পাকিস্তানই একমাত্র জে-১০সি ব্যবহারকারী। ২০২০ সালে তারা ৩৬টি জে-১০সিই এবং ২৫০টি পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ক্রয়াদেশ দে, ২০২২ থেকে ২০টি সক্রিয় হয়ে ওঠে। মিশর এবং উজবেকিস্তান এই যুদ্ধ বিমানে ক্রয়ে অপার আগ্রহী।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেন, পাইলটের ভুল বা যুদ্ধের নিয়ম রাফায়েল ধ্বংসের কারণ হতে পারে। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জেমস প্যাটন রজার্স বলেন, চীনা মিডিয়া দাবি করছে তারা যুদ্ধ বিমানে বিশ্বনেতা। কিন্তু রাফায়েল বিমানের অভিযানকালীন বা অপারেশনাল মোতায়েন বিশ্লেষণ না করে এর দুর্বলতার জায়গা মূল্যায়ন করা কঠিন।
তিনি যোগ করেন, চীনের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা বেশি উদ্বেগের। জে-১০’র রাডার রাফায়েলের দিকনির্ণয় ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ভূপতিত হতে বাধ্য করেছে। এই ঘটনা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য সতর্কতা।
চীনা অস্ত্রের আকর্ষণ বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে রজার্স বলেন, যেসব দেশ চীনের দিকে ঝুঁকছিল, তাদের জন্য এটি যুক্তি যোগাচ্ছে। চীনা অস্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব রাজনৈতিক জটিলতা দূর করছে।
রিক জো বলেন, এই যুদ্ধ জে-১০সি এবং পিএল-১৫-এর প্রোফাইল বাড়াবে। তবে ক্রয় নির্ভর করে রাজনীতি, খরচ, এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপর।
পাকিস্তান-ভারত এক ঘণ্টার আকাশযুদ্ধ চীনের সামরিক প্রযুক্তির উত্থানের এক মহাকাব্যিক গাথা, যা বিশ্ব রণাঙ্গনের ভবিষ্যৎ পুনর্নির্ধারণ করছে।