মস্কোয় ইউক্রেনের ভয়াবহ ড্রোন হামলা, যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব ট্রাম্পের
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই হামলায় অন্তত ৩৪টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর মস্কোয় এটিই সবচেয়ে বড় হামলা কিয়েভের।
কিয়েভের এই হামলায় মস্কোর তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেক ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়। তবে কিয়েভের এই ব্যাপক ড্রোন হামলায় আর কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি রুশ কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ছাড়া রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে তিন ঘণ্টায় আরও ৩৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে এক রাতে রেকর্ড ১৪৫টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী এর মধ্যে ৬২টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তারা রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণ চালিয়েছে।
এদিকে দেশ দুটির যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া গত মাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান।
অ্যাডমিরাল স্যার টনি রাদাকিন বলেন, অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে রুশ বাহিনীর দেড় হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ হতাহতের মোট সংখ্যা ৭ লাখ।
এদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রস্তাব অনুসারে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে একটি ৮০০ মাইল দীর্ঘ বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করবেন ইউরোপীয় ও ব্রিটেনের সেনারা।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব এমন একসময়ে সামনে এলো, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপকে রক্ষা করতে গিয়ে রাশিয়াকে তুষ্ট করার চেষ্টা আত্মহত্যার নামান্তর হবে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মূলত রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা কঠোরভাবে নাকচ করেছেন।