মিশিগানে দশ সহস্রাধিক সংগীত প্রেমীর মন জয় করলেন ইমরান ও কনা
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাদ্যযন্ত্রের তালে আর সুরেলা কণ্ঠের হৃদয় ছোঁয়া গানে গানে মিশিগানের প্রায় দশ সহস্রাধিক সংগীত প্রেমিক প্রবাসী বাংলাদেশি ও আমেরিকান সহ অন্যান্য রাষ্ট্রের নারী-পুরুষে মন জয় করে সেলফি-কিচ ভালবাসায় স্বদেশ ফিরে গেলেন এ প্রজন্মের তারুণ্যের অহংকার জনপ্রিয় শিল্পী ইমরান ও কনা |
শুধু তারাই নয়, নিউইয়র্ক থেকে আগত উদীয়মান আরেক অসাধারণ কণ্ঠ শিল্পী আরটিএন মেহজাবিন মেহাও কাপালেন জেইন ফিল্ড। নিয়ে গেলেন দর্শক শ্রোতাদের বুক ভরা ভালবাসা। আরো গান গাইলেন কণ্ঠ শিল্পী মম, শাহনাজ ভেলী এবং মিশিগানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৌখিন শিল্পী তালুকদার গিয়াস, টিপু ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল টেন এন্ড হাফ মাইল।
কানাডা সীমান্ত ঘেঁষা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রাজ্য মিশিগানে প্রতি বছর সামার সিজনে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর ডেট্রয়েট সিটির জেইন ফিল্ডে ‘বাংলা টাউন’ নামে এক জমকালো মেলার আয়োজন করেন নাজেল হুদা ও সেলিম আহমদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বসবাসরত এক ঝাঁক সংগীত প্রেমী বাঙালি অর্থওয়ালা।
এ উপলক্ষ্যে প্রথম দিন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই অপরূপ সাজে সজ্জ্বিত সংশ্লিষ্ট ফিল্ডে দুপুর থেকে জমায়েত হয় শত শত নারী পুরুষ। বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও সাংবাদিক রেজওয়ানা এলভিসের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা এবং নাজেল হুদা নাজ ও সেলিম আহমেদের সার্বিক তত্বাবধানে এভাবেই চলে শেষ দিন অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আবহমান বাংলার ঐতিহ্য কৃষ্টি-সংস্কৃতির অংশ প্রবাসীদের এই প্রাণের মেলা উপভোগে বাংলাদেশি এরাবিয়ানরা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ফ্লুরিডা, জর্জিয়া, শিকাগো ও অন্যান্য আরো কয়েকটি রাজ্য এমনকি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র কানাডার উইন্ডসর, টরেন্টু থেকেও জমায়েত হয় নারী পুরুষ। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে এমন জনপ্রিয় মেলা উপভোগ ও উৎসাহ যোগাতে মেলায় উপস্থিত হন এবং বক্তব্য দেন মিশিগান রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর গার্লিন গিলক্রিস্ট, হেমট্টামিক সিটি কাউন্সিল মেয়র আমির বদর গালিব, কংগ্রেসম্যান, সিনেটর, সিটি কাউন্সিল ম্যান সহ বিভিন্ন কমিউনিটি লিডার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় অন্তত অর্ধ শতাধিক স্টলে নানান সুস্বাদু খাদ্য, সহ স্বর্ণালংকার, মহিলা পুরুষদের কাপড়-চোপড়, মাটির তৈরী হাড়ি-পাতিল, খেলনা ও অন্যান্য সামগ্রী কেনা বেঁচায় অংশ নেন ক্রেতা বিক্রেতারা. মেলায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে শুধু আয়োজকদের পক্ষ থেকে রাফ্রেল ড্র ছিল না, ছিল এপিআইএ ভোট এবং মিশিগান ওয়াইনো ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকেও নানান প্রচারণা ও রাফ্রেল ড্র. সংশ্লিষ্ট আযোজকদের পক্ষ থেকে দেয়া বেঙ্গল অটো সেলসের স্বত্বাধিকারী তালুকদার গিয়াসের ব্যয়বহুল কার মেলার শেষ দিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাফ্রেল ড্র প্রথম বিজয়ী জিতে নেন এবং মহা আনন্দে মেতে উঠেন। অন্যান্য বিজয়ীরাও একে একে তাদের মূল্যবান পুরস্কার গ্রহণ করে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেন।
এছাড়াও মেলার মাঠে অন্যতম আরেকটি আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের রাস্তার রাজা রিকশা. বাংলাদেশিরা শুধু নয়,এই রিক্সায় আমেরিকান,এরাবিয়ানরাও চড়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন।
এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ছিল মেলার আরো একটি ব্যতিক্রমী উপহার দর্শক জনপ্রিয় রেসলিং প্রতিযোগিতা। এতে মূলত অংশ নেন আমেরিকানরা। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রেস্লিং দৃশ্য আনন্দচিত্তে উপভোগ করেন শত শত প্রবাসী।
এ সময় বেশ কয়েকজন তাদের অনুভূতি তুলে ধরে বলেন,সামার সিজনের সর্বশেষ এই মেলা আমরা উপভোগ করেছি আনন্দ উল্লাসে। রেসলিং ও বাংলাদেশি রিকশা প্রদর্শন করায় এক নতুন মাএা যোগ হয়েছিল। যা দেখে বা চড়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে। আমরা আগামী বছরে আরো প্রানবন্ত মেলা ও গানের আসর চাই। আর পুরাতন কোন কন্ঠ শিল্পী নয়,জনপ্রিয় নতুন শিল্পী স্বস্ব আয়োজকদের উপহার দিতে হবে।
আগামী বছর সামার সিজনের অন্তত স্বপরিবারে শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীরা নয়, আমেরিকান এরাবিয়ানরাও বাংলাদেশ তথা বাঙালীর মেলাকে প্রতিবছর উপভোগ করে বেশ আনন্দ উল্লাসে লিপ্ত হন। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজকরাও এমন মেলা আয়োজনের মাধ্যমে স্বদেশী কালচার বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পাশাপাশি কর্মক্লান্ত নারী পুরুষকে আনন্দে মাতিয়ে তোলা আর কাড়ি কাড়ি ডলার ফান্ডে রাখার প্রত্যয়ে তৎপর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্যতম কর্নধার কামাল রহমান,সেলিম আহমেদ,নাজেল হুদা.এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফিরোজ আলী, সাদেক, নূর মিয়া, পারভেজ ,সাইফুল ইসলাম হারুন,শোভন,জিয়া উদ্দিন জুয়েল,রিপন লস্কর,কামাল হোসাইন লিলু,মোশারফ আহমেদ, খাজা আফজল,মওদুদ চৌধুরী,তাহমিদ চৌধুরী,মোহাম্মদ রাজা,মোশতাক রহমান,দিপু চৌধুরী,তাসনিন খান, কাউছার দেওয়ান, রাসেল মোহাম্মদ, কিবরিয়া লস্কর, হারুন মিয়া, তারেক মিয়া ও ইকবাল মিয়া।