Michigan

মিশিগানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নতুন বছর উদযাপন

পুরোনো বছরের বিদায়ের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে পুরোবিশ্ব। বর্ষবরণের এই উৎসবে সামিল হন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। আতশবাজি ফুটানোসহ নানা আয়োজনে ইংরেজি নববর্ষ-২০২৪ কে বরণ নিয়েছেন তাঁরা। 

২০২৩ সালকে বিদায় জানাতে এবং একইসাথে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাত ১২ টা ১ মিনিট বাজতেই হেমট্টামিক, ডেট্টয়েট, ওয়ারেনসহ প্রতিটি শহরজুড়ে বেজে  উঠে আতশবাজির শব্দ। কনকনে ঠান্ডার মাঝে ভোর পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। 

এসময় প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সকলেই নিজ নিজ বাসা থেকে বের হয়ে এই সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এছাড়াও  নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মিশিগানের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ দিন আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। 

নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসীরাই আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডার বিভিন্ন শহরে ভ্রমণে বের হন। এছাড়াও মিশিগানের বিভিন্ন সিটি বা রেষ্টুরেন্ট গুলোতেও নানা ব্যানারে আয়োজন করা হয়,আলোচনা ও গানের অনুষ্ঠান। 

নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাতে এক বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় হেমট্টামিক সিটির নিউ মদিনা রেষ্টুরেন্টে। রেষ্টুরেন্টের পক্ষ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে আয়োজিত এই বর্ষবরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক এবং ভূড়িভোজ পর্ব অনুষ্ঠানে প্রথমেই পরিচালকদের পক্ষ থেকে রুম্মান চৌধুরী ইভান, তাজুল ইসলাম ও আব্দুল মালিক আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে নতুন বছর-২০২৪ সালের প্রাণবন্ত শুভেচ্ছা জানান।

সঞ্জয় দেব ও সাব্বির আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইশতিয়াক রুপু, বাংলা মাহমুদুল হক লিটু, সাংবাদিক জুয়েল খান,রম্য লেখক হারান কান্তি সেন, জুবেরুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, আরিফ আহমেদ জিসান, সাব্বির আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন করেন একাধিক শিল্পী। ছিল আকর্ষণীয় পর্ব রাফ্রেল ড্র। 

বক্তারা এসময়, নিউ মদিনা রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষকে এমন সুন্দর আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান এবং নতুন বছর ২০২৪ সালকে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সকল শ্রেণীর নাগরিকদের জন্য ক্ষুধা, দারিদ্র আর যুদ্ধ মুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশা করেন।

এদিকে মিশিগানের আল-শাহী রেষ্টুরেন্টেও নতন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বিয়ে, জন্মদিন ও পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যে অনুষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশী, আমেরিকানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উপচে পড়া ভীড় ছিল লক্ষণীয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button