International

মেসিডোনিয়ার নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড : নিহত ৫৯

কোচানি শহরের পালস ক্লাবে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী স্কোপজে থেকে কোচানি শহরের অবস্থান প্রায় ১০০ কিলোমিটার পূর্বে।

উত্তর মেসিডোনিয়ায় একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫৯ জন নিহত এবং ১৫৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

কোচানি শহরের পালস ক্লাবে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী স্কোপজে থেকে কোচানি শহরের অবস্থান প্রায় ১০০ কিলোমিটার পূর্বে।

এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যান্স টোস্কোভস্কি।

এদিকে কোচানির হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ৯০ জন রোগীকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

নিহতদের বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন কোচানির হাসপাতালের পরিচালক।

আগুন লাগার সময় ওই ক্লাবটিতে দেশটির জনপ্রিয় হিপ-হপ জুটি ডিএনকে’র একটি কনসার্ট চলছিল। যা দেখতে এসেছিলো প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনের ছাদ আগুনে পুড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী রিস্টিজান মিকোস্কি এই ঘটনাকে দেশের জন্য ‘কঠিন ও অত্যন্ত দুঃখের দিন’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে এত তরুণ প্রাণ হারিয়েছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে ধারণা করা হচ্ছে কনসার্টকে চমকপ্রদ করতে মঞ্চের আশেপাশে যে আগুনের ফুলকি ছড়ানো হয় সেই পায়রোটেকনিক ডিভাইসের সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই স্ফুলিঙ্গ ওপরে উঠে ছাদে আগুন লেগে যায় এবং ছাদটি অত্যন্ত দাহ্য উপাদানে তৈরি ছিল বলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফুটেজে দেখা যায়, ব্যান্ডটি যখন মঞ্চে পারফর্ম করছিল তখন দুটি স্ফুলিঙ্গ বিস্ফোরিত হয়, তারপর আগুন ছাদে লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি।

সেখানে আরো দেখা যায় নাইটক্লাবের ডান্স ফ্লোর বরাবর ওপরের ছাদে আগুন লেগে যায় এবং মানুষ নানাভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ক্লাবটি তখনো মানুষে পূর্ণ ছিল, কেউ বের হচ্ছিল না।

২০ বছর বয়সী মারিজা তাসেভা, স্থানীয় গণমাধ্যম চ্যানেল ফাইভকে জানায়, কিছুক্ষণ পর ক্লাবে দমবন্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষ তখন হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে আসার সময় তিনি নিচে পড়ে যান। কিছু সময় পদদলিত হলেও পরে তিনি বাইরে বের হতে সক্ষম হন। কিন্তু তিনি এখনো তার বোনের কোনো খোঁজ পাননি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button