যুক্তরাষ্ট্রের ৫ অস্ত্র প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল চীন
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চীন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র তৈরির পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আজ রোববার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাদের নিজস্ব সংবিধান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। তবে দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকি চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘একত্রীকরণে’ সামরিক শক্তি খাটানোর হুমকিও দিয়েছে বেইজিং।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাইপের ব্যাটল কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে জোরদার করতে ৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো বিএই সিস্টেমস ল্যান্ড অ্যান্ড আর্মামেন্ট, অ্যালিঅ্যান্ট টেকসিস্টেমস অপারেশন, অ্যারো ভায়রনমেন্ট, ভায়স্যাট এবং ডাটা লিংক সল্যুশন।
মন্ত্রণালয়টি বলছে, পাল্টাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে চীনে থাকা সেই কোম্পানিগুলোর স্থাবর, অস্থাবরসহ সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং চীনের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিদের তাদের সঙ্গে লেনদেন ও সহযোগিতা করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়টি আরও বলছে, ‘চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি…চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুতর আঘাত।’
২০১৬ সালে সাই ইং-ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাইওয়ানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে বেইজিং।
১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সামরিক ও রাজনৈতিক—উভয় ধরনের চীনা কর্মকাণ্ডের ব্যাপারের জন্য চরম সতর্ক রয়েছে তাইওয়ান। তাইপের সন্দেহ, চীন এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
এই দ্বীপের চারপাশে মহড়া দেয় চীনের যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি বেলুন দেখতে পেয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির জন্য চীনের বেলুন ব্যবহারের সম্ভাবনার বিষয়টি গত ফেব্রুয়ারিতে জোরেশোরে আলোচনায় এসেছিল। চলতি মাসে তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিপক্ষে বেইজিংকে সতর্ক করেছ।