যুদ্ধের মাঝেই অস্ত্র কেনার সাড়ে ৪ কোটি টাকা ‘চুরি’! মাথায় হাত জেলেনস্কি প্রশাসনের
শক্তিশালী ‘শত্রু’ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রয়োজন আরও অস্ত্রের। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে হবে। কিন্তু অস্ত্র আসবে কোথা থেকে? সেই টাকা তো ‘চুরি’ গিয়েছে! অস্ত্র কেনার টাকা নিয়ে ‘ভেগেছে’ দেশেরই দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই মাথায় হাত পড়ে জেলেনস্কি প্রশাসনের।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, যুদ্ধের প্রয়োজনে ১০ হাজার আধুনিক মর্টার শেল কেনার জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল কিয়েভ। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। নিয়ম মাফিক সেই টাকা নির্দিষ্ট সংস্থায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছিল। টাকা গেলেও অস্ত্র আসেনি। পুরো বিষয়টি হয় অস্ত্র সরবরাহকারী সংস্থা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের যোগসাজশে।
এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলেও মাত্র ১ জনকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। তাও ইউক্রেন সীমান্ত পার করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। দোষ প্রমাণ হলে ১২ বছর তাদের জেলে কাটাতে হবে।
লিভিভ আর্সেনাল নামক এক সংস্থার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১০ হাজার মর্টার শেল কেনার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল সাড়ে ৪ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেই টাকা বিদেশে অস্ত্র প্রস্তুত কারক সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা ছিল। টাকা গেলেও অস্ত্র সরাবরাহ হয়নি বলেই অভিযোগ। উলটে সেই টাকা ইউক্রেন ও বলকান অঞ্চলের একাধিক অ্যাকাউন্টে। তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা।