শঙ্কা বাড়াচ্ছে ভয়েস ক্লোনিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নিজের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সন্তান, পরিচিতজন বা নিজের কণ্ঠই আর্থিক জালিয়াতির বহু ঘটনা উদাহরণযোগ্য। শঙ্কার হলেও ঘটনা সত্য।
খবরে প্রকাশ, ভারতের কয়েকটি প্রদেশে ব্যক্তির হাজার হাজার রুপি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারে। প্রতারিত ব্যক্তি প্রতারকের কাছ থেকে প্রথমে ফোনকল পায়। অবিকল তার বন্ধুর কণ্ঠে তার সঙ্গে কথা বলা হয়। জানানো হয়, ওই বন্ধু দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি। জরুরি প্রয়োজনে টাকা দরকার। প্রতারিত হওয়া ওই ব্যক্তি দ্রুতই টাকা পাঠিয়ে দেন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে। প্রতারিত ব্যক্তি পরে বন্ধুকে ফোন করে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এমন ঘটনায় ভারতে অভিযুক্তের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। ক্ষতির পরিমাণ একেক ঘটনায় লাখ রুপিও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতারকরা ইচ্ছামতো যে কারও কণ্ঠ অবিকল নকল করে ফেলছে। আর তা করা হয় (এআই) ভয়েস ক্লোনিং টুল ব্যবহার করে।
বিখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ম্যাকাফি সূত্রে জানা গেছে, টার্গেটকৃত প্রায় ৮৭ শতাংশ ভারতীয় জালিয়াতির ঘটনায় অর্থ খুইয়েছেন। ৬৯ শতাংশ ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহৃত তৈরি কণ্ঠ ও মানুষের কণ্ঠের মধ্যে তফাৎ খুঁজে পাচ্ছেন না।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জালিয়াত চক্রের জন্য বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের ভয়েস ক্লোন করা সহজ করে দিয়েছে। ফলে সারাবিশ্বে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
এআই ভয়েস ক্লোনিং, যা ভয়েস সংশ্লেষণ বা ভয়েস ‘মিমিক্রি’ নামে পরিচিত। বলতে গেলে প্রযুক্তি, যা মেশিন লার্নিং বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠকে হুবহু নকল করে। প্রযুক্তিতে ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণে সুনির্দিষ্ট কণ্ঠের রেকর্ডিং করতে এআই রীতিমতো পারদর্শী।