Hot

‘সিন্ডিকেটের’ বাজারে প্রতারিত ভোক্তা: বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ

ঢাকার আড়াই কোটি মানুষের স্বার্থরক্ষায় কাজ করছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা * তদারকি জোরদারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি ডিভিশন থাকা উচিত -গোলাম রহমান

‘সিন্ডিকেট’-এর বাজারে পদে পদে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তা। বিভিন্ন পণ্যে ভেজাল ও গুণগত মান নিশ্চিত না হওয়া, টাটকার নামে বাসি এবং ওজনে কম দিয়ে সাধারণ মানুষকে অসহায় করে ফেলেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বা তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ সদস্যরা। তাদের কারসাজিতে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম একরকম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বিক্রিতেও নানা ধরনের ছলচাতুরী করা হচ্ছে। চিকিৎসা পেতেও রোগীকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আর এতসব প্রতারণা মেনে নিয়েই নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন ভোক্তা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম কয়েক বছর আগেও ব্যবসায়ীদের জানা ছিল না। নৈরাজ্যের বাজারে তাদের অধিকার সংরক্ষণে আইন হলো, সেই আইনের আলোকে ২০০৯ সালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও হলো। মাঝখানে চলে গেছে ১৫ বছর। ভোক্তা কী পেল এই ১৫ বছরে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দিকে নজর দেওয়া যাক। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত এই অধিদপ্তর কার্যত দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য কাজ করতে এক প্রকার ব্যর্থ। ১০৮ জন কর্মকর্তা দিয়ে সমগ্র দেশে অভিযান পরিচালনা করার বাস্তবসম্মত কোনো সুযোগও নেই। এর মধ্যে ঢাকায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য কর্মকর্তা রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। সবার প্রশ্ন-কীভাবে সম্ভব এই জলবল দিয়ে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করা।

এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে-‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস।’ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি গুরুত্ব দিয়ে পালিত হচ্ছে। কনজুমার ইন্টারন্যাশনালের প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ধরা হয়েছে-‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি।’ দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, রোজার মাসে ভোক্তাসাধারণ যাতে কারও ব্যক্তিস্বার্থ বা লোভ-লালসার কারণে কষ্ট না পান, সেদিকে ব্যবসায়ী, জনগণ, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এ বছর পবিত্র রমজানে ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ভোক্তা ও সেবাগ্রহীতাদের অধিকার সমুন্নত রাখতে দেশবাসী সচেতন হবেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে ফলপ্রসূ অবদান রাখবেন।

‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেশের ভোক্তাসাধারণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সরকার শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি খাতে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তৈরি ও ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস এবং বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব ভোক্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেন এখন অনেক কিছুই ডিজিটাল বা অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং প্রতিদিন এ খাতে ভোক্তাদের ঝুঁকির নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। তাই অনলাইন কেনাকাটা বা আর্থিক লেনদেন যেন স্বচ্ছ হয়, এখানে যেন কোনো ধরনের প্রতারণা বা অনিয়ম না হয় এবং গ্রাহকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পান, সে বিষয়ে সব ব্যবসায়ী ও ভোক্তা প্রত্যেকেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উৎপাদক, বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে চলমান রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন ও ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। তারপরও পণ্যের দাম কমছে না। উলটো বাড়ছে। অন্যবারের মতো এবারও সেই সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে রমজাননির্ভর পণ্যের ওপর। এতে ভোক্তার জন্য সরকারের দেওয়া ছাড়ের সুবিধা চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে। ফলে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে রোজাকে সামনে রেখে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। অধিক মুনাফা করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের আশ্রয় নিয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে রমজান নির্ভরপণ্য-ছোলা, বেসন, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, ইসুবগুলের ভুসি, ট্যাং ও খেজুরের দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে। এমনকি রোজা শুরুর চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায় ফলের দাম হুহু করে বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। আর রোজা শুরুর আগের দিনও ইফতারে ব্যবহৃত সবজি-বেগুন, শসা ও লেবুর দাম আরেক দফা বাড়িয়ে ভোক্তাকে নাজেহাল করে ফেলেছে। তারপরও ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে কাজ করা অধিদপ্তর কোনো সুরাহা করতে পারেনি। ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে বাড়তি দরেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। এমনকি একাধিক সময় একাধিক পণ্য নিয়ে অসাধুরা সিন্ডিকেট করে ভোক্তার পকেট থেকে হাজার কোটি টাকা লুটে নিলেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দৃশ্যমান কোনো কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। পাশাপাশি ভোক্তা আইনে জেল দেওয়ার বিধান থাকলেও তা কার্যকর করা কখনো সম্ভব হয়নি। জরিমানা করে দায়িত্ব শেষ করেছে।

এদিকে প্রভাবশালীদের চাপের ফলে সংস্থাটি ভোক্তার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে পারছে না। তারা শক্ত অবস্থানে গেলে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। তখন ভোক্তার ভোগান্তি আরও বাড়ে। এদিকে নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে জনবল সংকট সবচেয়ে তীব্র। ভোক্তা অধিদপ্তরের ২৪০ জন জনবলের মধ্যে দেশের ১৭ কোটি ভোক্তার অধিকার রক্ষায় মাঠপর্যায়ে সরাসরি কাজ করছেন মাত্র ১০৮ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে রাজধানীতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা। ফলে তাদের দিয়ে ভোক্তার কী উপকার হচ্ছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তার অধিকার দেখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর করা হলেও আইনে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করলে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আইনে জরিমানার সঙ্গে জেলে দেওয়ার বিধান রাখা হলেও সংস্থাটি জরিমানা করেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করছে। জেল দেওয়ার কোনো নজির নেই। পরিস্থিতি এমন-ভোক্তার অধিকার নিয়ে কানামাছি খেলা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে কনজুমারস অ্যাফেয়ার্স ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন নামে একটি মন্ত্রণালয় আছে। আমাদের দেশেও একটা থাকা উচিত। আমি ক্যাবের মাধ্যমে জোর দিয়ে বলছি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি ডিভিশন থাকা উচিত। একটি হলো-ভোক্তাবিষয়ক, আরেকটি বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যেসব চিরাচরিত বিষয় সেগুলো বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ দেখবে। আর ভোক্তাবিষয়ক বিভাগ ভোক্তা অধিকার আইনসহ ভোক্তার স্বার্থে আইন, আমদানি-রপ্তানি নিরীক্ষা করা ও সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবে। তাহলে পণ্যমূল্যের অস্থিরতার একটি স্থায়ী ব্যবস্থাপনা হবে বলে আমার ধারণা।

এদিকে ২০০৯ সালে ভোক্তা আইন হওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৭২ হাজার ৯৩৭টি অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে এক লাখ ৭০ হাজার ৯০৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে ১০২ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪২ টাকা। পাশাপাশি প্রতারিত ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ হাজার ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৬ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৯০৮ টাকা জরিমানা করা হয়। এই দুই খাতে মোট ১২৬ কোটি ৬২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু আইনে জরিমানার সঙ্গে জেলে পাঠানোর কথা থাকলেও নজির নেই।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে, যা আগে হয়নি। এবার আমরা ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সার্বিকভাবে মাঠে নেমেছি। সঙ্গে ভোক্তা আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আইনটির খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ভ্যাটিং হওয়ার পর সংসদে যাবে। আশা করি খুব শিগগিরই আইনটি পাশ হবে। তিনি জানান, এই আইনে অনেক নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। অসাধুদের বিরুদ্ধে শাস্তির আওতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া জনবল স্বল্পতা নিয়ে কাজ করছি। তাই আরও ৪৬৫ জন জনবল নিয়োগের জন্য আমাদের আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে। কারণ এই অধিদপ্তর ভোক্তার অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। তাই আশা করছি খুব শিগগিরই জনবল বাড়াবে।

সূত্র জানায়, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সরকারের আরও কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থা তাদের নিজস্ব আইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সংস্থাগুলো বেশিরভাগ শহরকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। গ্রামে যাচ্ছে কম। ফলে গ্রামে ভোক্তারা আরও বেশি ঠকছেন। এছাড়া রয়েছে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। ফলে ভোক্তারা এসব তদারকির কোনো সুফল পাচ্ছেন না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor