১১টার পর থেকে নৌকায় সিল মারা শুরু হয়, জাপা মহাসচিব
ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে নির্বাচনের খরচ নিয়ে তসরুপের অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, এবারের নির্বাচনে ১১টার পর অনেক সেন্টারে নৌকায় সিল মারা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকরাই জড়িত ছিল।
গতকাল বুধবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে এ কথা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু জায়গায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, অনেক জায়গায় সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমাদের অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন ফেয়ার হবে, তারা কথা রাখেনি। উপযুক্ত প্রমাণ হলো আমাদের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার প্রার্থী। সেখানে আমাদের প্রার্থী ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছেন। ওই আসনে জাল ভোট দেওয়ার প্রমাণও রয়েছে। আমাদের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দিয়েছে, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিয়েছে। সুনামগঞ্জে ১১টার পর অনেক সেন্টারে সিল মারা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকরাই জড়িত ছিল। যে কারণে আমরা কাঙ্খিত আসন পাইনি।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদে বিরোধীদলের ১ জন সংসদ সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি একাই সংসদকে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন। আমরাতো ১১ জন আছি, অপেক্ষা করুন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় পার্টির ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মী শীর্ষ নেতার প্রতি আস্থাশীল। কয়েক জনের আস্থা না থাকলে দলের কোন ক্ষতি হবে বলে আমি মনে কি না। আমরা হাজার হাজার শতশত নেতাকে বহিষ্কার করিনি। মাত্র ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল একটি ট্রেনের মতো এখানে অনেক যাত্রী উঠতেও পারে আবার নেমে যেতেও পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।