বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে জাতিসংঘ
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে জাতিসংঘ। এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক। সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তার কাছে ওই সাংবাদিক জানতে চান, ‘কথিত’ (সো-কল্ড) নাগরিক সমাজের কিছু মানুষ এবং কিছু সংগঠন আছে- যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে তারা, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবির বিষয়টি কি আপনি জানেন? আমি আরও বলবো- ওইসব ‘তথাকথিত’ নাগরিক সমাজ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু নির্বাচিত ব্যক্তি বাংলাদেশে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার সুপারিশ করেছেন।
এক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অবাধে সভাসমাবেশ করা শুরু করেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের এসোসিয়েশন কি জাতিসংঘের সঙ্গে যথাযথভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করবে? এ অবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি? পাশাপাশি ওই সাংবাদিক কমপক্ষে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
এ প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, আপনার প্রশ্নে দুটি অংশ আছে। প্রথমত, নির্বাচন নিয়ে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলবো, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও দেশের জনগণ যে উদারতা দেখিয়েছে তার জন্য জাতিসংঘ প্রশংসা জানায়।
আমরা আশা করবো এই ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদের বিষয়ে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো।