করবৃদ্ধির বিল পাশ নিয়ে বিক্ষোভ: কেনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহতের আশঙ্কা
কয়েক সপ্তাহ ধরে কেনিয়ানরা ওই অর্থবিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। বিলে সরকার কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, ইতোমধ্যেই জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে এ করবৃদ্ধি নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
কর বাড়ানো বিষয়ক নতুন একটি অর্থবিল নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একজন প্যারামেডিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি‘র।
কয়েক সপ্তাহ ধরে কেনিয়ানরা ওই অর্থবিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। বিলে সরকার কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, ইতোমধ্যেই জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে এ করবৃদ্ধি নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আইনটির বিরোধিতাকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এরপর পার্লামেন্টের একটি অংশে আগুনে ধরে যায়।
এ সময় কয়েকজন সংসদ সদস্য পার্লামেন্টের বেজমেন্টে আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টিয়ার গ্যাস ও গুলির শব্দের মাঝে বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে কিছু সংসদ সদস্যকে টানেলের মাধ্যমে পার্লামেন্ট থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছ রয়টার্স।
বিবিসির সাংবাদিকেরা রাজধানী নাইরোবির সড়কে মানুষের দেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
নতুন এ কর আইন নিয়ে দেশটির রাজধানী বাদেও অন্যান্য অংশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
কেনিয়ার সরকার বলেছে, ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে বিভিন্ন পরিষেবার অর্থায়নের জন্য এটির অর্থ আহরণ বাড়ানো দরকার।
বিলে প্রাথমিক প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল রুটির ওপর ১৬ শতাংশ বিক্রয় কর এবং ভোজ্যতেলের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ।
জনরোষের প্রতিক্রিয়ায় সরকার এসব করবৃদ্ধির সিদ্ধান্তসহ আরও কিছু পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসে। তবে মঙ্গলবার সরকার করবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করে একটি সংশোধিত বিল পাস করে।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বিক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্বেগ সমাধানের জন্য আলোচনা করবেন।