Bangladesh

অর্থনৈতিক সংস্কারে পাশে থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার অর্থনৈতিক সংস্কার। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় দেশটি। সংস্কারের বিষয়ে যেসব খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মার্কিন অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গতকাল রোববার ঢাকায় দিনভর ব্যস্ত সময় পার করে। দলটি সকাল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা মো. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে। এর আগে গত শনিবার ঢাকায় নেমে দলটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে।

ব্রেন্ট নেইম্যান ছাড়াও প্রতিনিধি দলে আছেন মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্র্যান্ডন লিঞ্চ, অর্থ দপ্তরের পরিচালক জেরোড ম্যাসন প্রমুখ। প্রতিনিধি দলের একটি অংশ গতকাল বিকেলে ঢাকা ছেড়েছে। বাকি সদস্যদের আজ সোমবার ভোরে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসন অর্থনীতি পুনর্গঠন, সংস্কার ও সচল করতে দ্রুত এগিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করেছে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করেছে। 

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তাঁর মতে, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে এ আন্দোলন।

প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের একটি রূপরেখা বর্ণনা করে বলেন, ভোট কারচুপি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনের প্রয়াসে এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই ছয়টি কমিশন গঠন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার আগের স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের চুরি করা সম্পদ ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতদিন দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।’

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তারা জানান, ওয়াশিংটন তাঁর সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করতে পারলে আনন্দিত হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম সমস্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।
এদিকে ড. ইউনূস সফররত প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের গ্রাফিতিবিষয়ক একটি আর্টবুক উপহার দেন। বইটিতে ঢাকা এবং অন্যান্য শহরের দেয়ালে ছাত্র-যুবকের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সময় আঁকা কিছু সেরা শিল্পকর্মের ছবি রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করেন, কীভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের শিল্পকর্ম ব্যবহার করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থনে বার্তা দেয়। তাদের কাছে রং ও ব্রাশ কেনার টাকা ছিল না। সাধারণ মানুষ তাদের সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজিবিষয়ক প্রধান লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটা। রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বাণিজ্য খাতে বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোবে এবং মার্কিন প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা (অনুদান) দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মধ্যে ‘ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি)’-এর ষষ্ঠ সংশোধনী সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন এবং ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান চুক্তিতে সই করেন।

এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যে চুক্তি আগে হয়েছিল, এর সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। তার মানে বাড়তি টাকা তারা দেবে।
ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের অংশ হয়ে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করব। এ চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’

এদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিওএজির ষষ্ঠ সংশোধনী সই হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ২০২১-২৬ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএইডের মধ্যে ডিওএজি সই হয়েছিল। এর আওতায় ইউএসএইডের ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল। পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসএইড ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। এবার ষষ্ঠ সংশোধনীর অধীনে ইউএসএইড আরও ২০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। যা সুশাসন, সামাজিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি এবং স্থিতিশীলতা খাতে খরচ হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে আমাদের প্রতিনিধি দল। যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে দূতাবাস জানায়, আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক
গতকাল দুপুরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকার ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব বিষয়ে প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে প্রতিনিধি দল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি এ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় আর্থিক ও রাজস্ব খাতের সংস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, শ্রম পরিবেশ, মানবাধিকার রক্ষা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাসহ অন্য বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি দক্ষতা বাংলাদেশ ব্যবহার করবে। আলোচনাটি শুরু হয়েছে, এর ফল পেতে সময় লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহযোগিতার আশ্বাস নিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, প্রথম যে আশ্বাসটি তারা দিয়েছে, সেটি হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে চায়। এর প্রতিফলন হিসেবে সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাসের শুরুতেই মার্কিন দলটি সফর করছে। দ্বিতীয়ত, আমরা সংস্কারের বিষয়ে যেসব খাত চিহ্নিত করেছি, তাতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা ক্রয় বা সহযোগিতা নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

শ্রম আইন সংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রম আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। এ পদক্ষেপগুলোকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ওয়াশিংটন। তবে এ বিষয়ে আলোচনা চলবে। জিএসপি নিয়ে তিনি বলেন, এটি ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় আসার আগে দিল্লি সফর করেছেন। এ সফরে ভারত থেকে কোনো বার্তা নিয়ে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। 

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বৈঠকে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। এটির সমাধান হওয়া উচিত। সাম্প্রতিককালে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করার বিষয়ে বলেছে। তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এক মাসের কিছুটা বেশি। আজকের বৈঠকে পরিবর্তিত যে পরিস্থিতি ও সরকারের সংস্কার বিষয়ে যে ধ্যান-ধারণা এবং সেটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অংশ নিতে পারে, তা নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য এ সফর একটি ভিত্তি। সামনে এমন আরও আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে এটিকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। 

গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফর। যখন মার্কিন প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে রয়েছে, তখন বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আলাদা দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে বিশ্বব্যাংক ১০০ কোটি ডলার ও এডিবি ৯০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button