Trending

সোভিয়েতের মহাকাশ জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কেন লজ্জায় ফেলে দিয়েছিল?

  • মহাকাশে মার্কিন আধিপত্যের শুরু সোভিয়েতের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে
  • ৪ থেকে ১০ অক্টোবর পালন হচ্ছে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ
  • মহাকাশে সোভিয়েত সাফল্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর হার

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন দুই প্রধান পরাশক্তির মাঝে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের তীব্র প্রতিযোগিতা চলছিল। সময়টা শীতল যুদ্ধ বা স্নায়ু যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। কার শক্তি বেশি, প্রভাব বেশি, সাফল্য বেশি, এমন নানাবিধ প্রতিযোগিতা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছিল।

এর মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সাফল্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। বর্তমান সময়ে মহাকাশ বিষয়ে আমেরিকার যে আধিপত্য, এর শুরুটা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে।

৪ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পালন হচ্ছে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ। মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর ঘটনার প্রেক্ষাপটে এ সপ্তাহ পালন করা হয়। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে, যার নাম ছিল স্পুটনিক-১।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন সফলভাবে কাজটি সফলভাবে করে ফেলেছে, বিষয়টি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিকদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল, যারা আশা করেছিল যে এ ধরণের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রই আগে সম্পন্ন করবে।’

মহাকাশ জগতে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাফল্য ছিল এক নতুন যূগের সূচনা। আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর সব বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষের জন্য এটি ছিল অবাক করার মতো ব্যাপার। এটা সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য ছিল বিশাল জয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর হার। কীভাবে সেটা হয়েছিল? সেই ঘটনাপ্রবাহ এবং বিবরণ দেয়া আছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আর্কাইভ এবং মহাকাশ মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে।

প্রতিযোগিতা, ব্যর্থ প্রয়াস, আমেরিকার লজ্জা

১৯৫০ এর দশক ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন, উভয়ই নতুন প্রযুক্তি বিকাশের জন্য কাজ করছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে নাৎসি জার্মানি বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাছাকাছি ছিল। সেই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে জার্মান বিজ্ঞানীরা উভয় দেশে গবেষণায় সহায়তা করছিলেন। কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট তৈরির প্রতিযোগিতা অবশ্য হঠাৎ করে হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক ইউনিয়ন সে লক্ষ্য আগে থেকেই নির্ধারণ করেছিল। উভয় দেশই এর অংশ ছিল।

১৯৫৭ সাল থেকে সূর্যকে কেন্দ্র করে সৌরজগতে যেসব ঘটনা ঘটে তা বেড়ে যাওয়ার একটা পূর্বাভাস ছিল। এজন্য সে বছরের জুলাই থেকে ১৯৫৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল ইয়ার’ (আইজিওয়াই) বা আন্তর্জাতিক ভূতাত্ত্বিক বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটি ১৯৫২ সালেই। ১৯৫৪ সালে টার্গেট নেয়া হয়েছিল স্যাটেলাইট তৈরির যেন ভূপৃষ্ঠের ম্যাপিং করা যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন তাৎক্ষণিকভাবে তাদের স্যাটেলাইট কক্ষপথে প্রদক্ষিণের পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়। এটা নিশ্চিত ছিল এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া থাকবে।

আমেরিকার ইতিহাসবিদ এবং নাসার প্রধান ইতিহাসবিদ রজার ডি লনিয়াস নাসায় প্রকাশিত একটি লেখায় সে সময়টার খুঁটিনাটি বর্ণনা করেছেন। ৫০ এর দশক জুড়েই যুক্তরাষ্ট্র নানা ধরনের রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে গেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে অনেকবার।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম ছিল। এর সাথে কৃত্রিম উপগ্রহ ওড়ানোর টার্গেট মিলে সরকারী নীতিনির্ধারণে মহাকাশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণার কাজ অনেকদূর এগিয়ে যেতে থাকে।

১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, ওয়াশিংটন ডিসির সোভিয়েত দূতাবাসে বিজ্ঞানীদের একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে আমেরিকানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈঠকের একটি সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল এটি। স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের সভাগুলোতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে পেছনে ফেলার একটা প্রচ্ছন্ন প্রবণতা থাকত।

মার্কিন নৌ গবেষণা ল্যাবের একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী, ডক্টর জন পি. হেগেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভ্যানগার্ড’ প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। যেহেতু তার স্যাটেলাইট প্রকল্পে বার বার দেরি হচ্ছে এবং ব্যয় বাড়ছে, সেজন্য তার বাড়তি উদ্বেগ ছিল। এজন্য সেদিনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত আলোচনার জন্য আগেভাগেই চলে যান। তিনি জানতে চাইছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের উপগ্রহ প্রকল্প কতদূর এগিয়েছে। সে অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ওয়াল্টার সালিভান উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যার একটু আগে তিনি অফিস থেকে একটি ফোন পান। জানানো হয় যে সোভিয়েত সংবাদ সংস্থা তাস, পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক ১’ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার ঘোষণা দিয়েছে। সালিভান খবরটি শুনে দ্রুত আমেরিকান আইজিওয়াই কমিটির সদস্য রিচার্ড পোর্টারকে জানালেন, ‘ওরা সফল হয়েছে।’

খবরটি জানাজানি হতেই মার্কিন বিজ্ঞানীরা হতবাক হয়ে গেলেন এবং হেগেনের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তাদের প্রকল্প ভ্যানগার্ডের আগে স্পুটনিক ১ মহাকাশে পৌঁছে যাওয়াটা একটা বড় ধাক্কা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। ঘোষণার পর, দূতাবাসের ছাদে গিয়ে সবাই উপগ্রহটি দেখার চেষ্টা করলেন, যদিও খালি চোখে তা দেখা সম্ভব ছিল না।

তবে বৈজ্ঞানিক দিকের পাশাপাশি এ ঘটনার প্রভাব ছিল রাজনৈতিক। বিষয়টি আমেরিকানদের জন্য ভীষণ লজ্জা ও চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াল। রাতারাতি বিশ্বে প্রভাবশালী হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকার প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করে ফেলেছে। সেই দিনের ঘটনা এবং এর পরদিন ৫ অক্টোবর, আমেরিকানদের মধ্যে যে মানসিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেটাকে নাসার ইতিহাসবিদ লনিয়াস বর্ণনা করেন ‘হিস্টেরিয়া’ হিসেবে।

যদিও প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনহাওয়া আমেরিকান জনগণের কাছে স্পুটনিকের গুরুত্ব কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেন। একই সাথে মহাকাশ প্রোগ্রামে অতিরিক্ত তহবিল এবং জনবল নিয়োগ করার ব্যবস্থা করেন তিনি। শুধু স্পুটনিক-১ না, খুব কম সময়ের মধ্যে, সে বছরই নভেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরেকটি স্পুটনিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ফেলে। এর মধ্যে আবার একটি কুকুরও ছিল।

উপগ্রহগুলো প্রতি দেড় ঘণ্টায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিল যা আমেরিকানদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে যে তারা অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার অযোগ্যতা নিয়েও সমালোচনা বাড়ছিল। কৃত্রিম উপগ্রহের ঘটনার আগেই অগাস্ট মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘আর-৭’ এর সফল পরীক্ষা চালায়। সোভিয়েত বিজ্ঞানী সের্গেই কোরোলভের নেতৃত্বে আগে ক্ষেপণাস্ত্র, এবং পরে সেই আর- ৭ রকেট ব্যবহার করেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল স্পুটনিক-১।

এর জবাব দিতে এবং মানুষের বিশ্বাস ফেরাতে ১৯৫৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর হোয়াইট হাউজ থেকে প্রজেক্ট ভ্যানগার্ডের পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা করা হয়। গণমাধ্যমকে সেখানে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও একটা চরম লজ্জাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ইঞ্জিন চালু হওয়ার পর রকেটটি তিন ফুট উপরে উঠেই কাঁপতে কাঁপতে আগুন ধরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এমন সংকটের মাঝে আমেরিকার সামরিক বাহিনী বিকল্প প্রকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা করে।

জার্মানির একটি রকেট দলকে কাজ দেয়া হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন ওয়ের্নের ভন ব্রাউন। তিনি অনুমোদন না পাওয়া আগের একটি প্রজেক্ট ‘এক্সপ্লোরার’কে ঘষামাজা করে খুব কম সময়ের মধ্যে দাঁড় করিয়ে ফেলেন। এবং কয়েকবারের চেষ্টায় অবশেষে ১৯৫৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ‘দা এক্সপ্লোরার’ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সক্ষম হয়।

ওদিকে প্রজেক্ট ভ্যানগার্ডের বিজ্ঞানী হেগেনের কপাল এতটাই খারাপ ছিল যে এক্সপ্লোরারের কয়েক দিন পরই তার ভ্যানগার্ডের আরেকটি উৎক্ষেপণও চার মাইল উঠেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়। এরপর আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেননি তিনি। সোভিয়েতের সে সাফল্যের প্রভাব আমেরিকার জন্য এতটাই ছিল যে ১৯৫৮ সালেই প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়া নাসা বা ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সৃষ্টি করেন। এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ‘স্পেস রেস’ বা ‘মহাকাশ দৌড়’-এর ঘোষণা দেন।

স্পুটনিক চমক

কৃত্রিম উপগ্রহের প্রথম ধারণা উঠে এসেছিল ১৮৮৫ সালে সোভিয়েত রকেট সায়েন্টিস্ট কনস্ট্যান্টিন তলকভস্কির ‘ড্রিমস অফ আর্থ এন্ড স্কাই’ বইতে। সেখানে ধারণা দেয়া হয় কিভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ কম উচ্চতার কক্ষপথে ওড়ানো যেতে পারে। সোভিয়েত মহাকাশ কর্মসূচির মূল ভিত্তি ছিল তলকভস্কির কাজ। এর ভিত্তিতেই সোভিয়েত বিজ্ঞানী সের্গেই কোরোলেভ স্পুটনিক-১ এর উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছিলেন।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্য অনুযায়ী উপগ্রহটি ছিল মূলত অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি চার অ্যান্টেনাবিশিষ্ট একটি বাস্কেটবলের আকারের গোলক। এর ব্যাস ছিল মাত্র ৫৮ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ৮৪ কেজি। এর ভেতরে একটি স্বল্পশক্তির রেডিও ট্রান্সমিটার বসানো ছিল আর এর মূল কাজ ছিল পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে একটি বিপ সিগনাল পাঠানো যেটি বিশ্বে যে কোনও রেডিও শ্রোতা শুনতে পারবে।

সোভিয়েত আর-৭ রকেট বানানো হয়েছিল নাৎসি জার্মানির ভি২ রকেটের আদলে যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে জার্মানির ভি২ রকেটের প্রযুক্তি হাতে পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন চেষ্টা করছিল। ভি২ এর ডিজাইন টিমের বড় অংশ ও নেতা ওয়ের্নের ভন ব্রাউন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, আর সোভিয়েতরা কিছু ভি২ রকেটের অংশ এবং নকশা দখল নিতে সক্ষম হয়। যদিও রকেট নিয়ে আগে থেকেই কাজ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসে উল্লেখ করা হয়, স্পুটনিক-১ কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৯০০ কিমি উচ্চতায় প্রতি সেকেন্ডে আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছিল। সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদমাধ্যম প্রাভদা এটিকে ‘কৃত্রিম চাঁদ’ হিসেবে ঘোষণা করে।

নাসার তথ্যে বলা হয়, উপগ্রহটি তিন সপ্তাহ ধরে সংকেত পাঠিয়েছিল, তারপর এর ব্যাটারি ফুরিয়ে যায়। তবে সংকেত বন্ধ হলেও প্রদক্ষিণ চলতে থাকে। ডিসেম্বরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯৪৭ কিলোমিটার থেকে ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে নেমে আসে। ১৯৫৮ সালের চৌঠা জানুয়ারি, ৯২ দিন যাওয়ার পর, পৃথিবীকে ১৪০০ বার প্রদক্ষিণ করে, ৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ধ্বংস হয় স্পুটনিক-১।

প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের সাফল্য বিশ্বের কাছে সোভিয়েত প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই নামটি এখনকার রাশিয়ার জন্য ভিন্ন মাহাত্ম বহন করে। যেমন- রাশিয়ার মালিকানাধীন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার নাম স্পুটনিক। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে রাশিয়ার তৈরি টিকার নামও ছিল স্পুটনিক ভি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button