USA

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত আদালতে স্থগিত: ট্রাম্পের আদেশ অসাংবিধানিক

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা সাময়িক স্থগিত করেছে দেশটির এক আদালত। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বিচারক জন কফেনর এই সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা অনলাইনের।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেই একরাশ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার-সংক্রান্ত একটি আইন বাতিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া সবার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। বিচারক জন কফেনরকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আদালতে এক শুনানির সময় তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবেই একটি অসাংবিধানিক আদেশ।’
বিচারকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার দেওয়া নির্বাহী আদেশের পক্ষে লড়াই করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও। নির্বাহী আদেশটি সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই আদেশে মার্কিন সংবিধানের ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, ২টি শহর এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরপর গতকাল আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন আদালত। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আইনের আশ্রয় নেওয়া অঙ্গরাজ্যগুলো। এ বিষয়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস মায়েস বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টই নিজের ইচ্ছেমতো সংবিধান পরিবর্তন করতে পারেন না। আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা ফের নিশ্চিত হলো। আর ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশটি ‘আমেরিকার সঙ্গে যায় না’।
আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র ॥ ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি। চিঠি পাওয়ার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নোটিস অনুযায়ী, দেশটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউএইচও ছাড়বে। ডব্লিউএইচও থেকে কোনো সদস্য দেশ বেরিয়ে যেতে চাইলে এক বছরের নোটিস দিতে হয়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচওর কোনো পাওনা থাকলে তাও পরিশোধ করতে হয়।
ইরান-ইসরাইল সংঘাত বন্ধের পক্ষে ট্রাম্প ॥ ইরান ও ইসরাইলের সংঘাত নিরসনে সামরিক পদক্ষেপ এড়িয়ে আলোচনা ও সমঝোতার পক্ষে মত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক নির্বাহী আদেশে সই করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুব ভালো হয় যদি সামরিক উদ্যোগ এড়িয়ে ইরান- ইসরাইল সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button